আজ, বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে তাঁদের জয় নিশ্চিত বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। মঙ্গলবার রাতে মালবাজার পার্কের প্যাগোডায় পুরসভার ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করেন মুকুলবাবু। মুকুলবাবু বলেন, “সিপিএম চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকলে তৃণমূলের জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই।” তবে সিপিএমের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী শিলিগুড়ি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গৌতম দেবও ছলেন। বৈঠকের পর দলের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নান্টু পাল বলেন, “কংগ্রেস যদি সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলায় তাহলে বড় অঘটন ঘটাব।” তবে সেই অঘটন কী হবে সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে চাননি। ১৪-১৫ ভোটের হিসাবে হার নিশ্চিত জেনেও হাল ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী সবিতা অগ্রবাল হেরে গেলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। আর এই কঠোর সিদ্ধান্ত কী হবে তা ঠিক করতেই আজ, বুধবারই বৈঠকে বসবে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, “অনৈতিক কাজ করা একজনকে তৃণমূল সমর্থন করছে।”
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলরই ব্যক্তিগতভাবে নান্টু পালকে পছন্দ করেন না। তাঁদের অনেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আর জোটের হিসাবে চেয়ারম্যান পদটি কংগ্রেসের। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল।” চেয়ারম্যান পদ নিয়ে এই দড়ি টানাটানিতে পুর পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার শাসক দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করে নিজেদের আড়াল করতে ব্যস্ত। রাস্তাঘাট থেকে জঞ্জাল অপসারণ সব পরিষেবা নিয়েই ক্ষোভ রয়েছে। অন্য দিকে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে বার হয়ে আসা রাজু সাই ও পদম লামাদের উপস্থিতিতে সামসিং এলাকার ৫ জন মোর্চা নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। এ ছাড়াও বীরপাড়া-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেরবাহাদুর সুব্বা-সহ ১২ জন আরএসপি সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গৌতমবাবু সকলের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। এদিনই গৌতমবাবুর সঙ্গে মালবাজার পার্কে এসে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য নেতা তেজকুমার টোপ্পো দেখা করেন। তেজকুমারবাবু বলেন, “মালবাজার কলেজে হিন্দী মাধ্যমে পঠনপাঠন চালুর আবেদন করতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম।” |