সিআরপি পৌঁছতেই ফেরারদের ধরতে তল্লাশিতে নেমেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, রোজ সন্ধ্যার পরে সিআরপি জওয়ানদের নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিশেষত, কালিম্পঙে নানা মামলায় অভিযুক্ত হয়েও দীর্ঘদিন ধরে ফেরারদের ধরতে দুর্গম এলাকায় তল্লাশিতে যাচ্ছে পুলিশ। সম্প্রতি তৃণমূল নেতাদের উপরে হামলার ঘটনায় অধরাদের ধরতেও সিআরপিকে কাজে লাগানো হয়েছে।
তবে সিআরপির মোতায়েন নিয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও শহরবাসীরা কিন্তু এখন মুখ খুলতে চাইছেন না। এখনও থমথমে কালিম্পং। কারণ, পাঁচ দিন আগে ঘটে তিন তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে মারার চেষ্টায় অভিযুক্তদের বেশ কয়েকজন এখনও ধরা পড়েননি বলে পুলিশের দাবি। ফলে, এলাকার ব্যবসায়ী, বাসিন্দারা অনেকেই ফের গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না। বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, পাহাড়ের প্রধান রাজনৈতিক দল মোর্চার তরফে সিআরপি মোতায়েনের বিরোধিতা করা হয়েছে। অথচ সিআরপি মোতায়েন করে তাদের দিয়েই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। |
কয়েকজন ব্যবসায়ীর কথায়, “সিআরপি মোতায়েন করায় আমাদের আগামী দিনে ভাল হবে না মন্দ তা ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে একটা আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।” পুলিশ অবশ্য দাবি করেছে, সিআরপি জওয়ানরা সাধারণ ভাবে দিনের বেলায় বিশ্রামেই থাকছেন। সন্ধ্যে হলেই তাঁদের সঙ্গে নিয়ে ফেরারদের ধরতে অভিযানে যাওয়া হচ্ছে। কালিম্পং থানার পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে সেই সব এলাকায় যাচ্ছেন, যেখানে পুলিশের জন্য অঘোষিত ‘নো এন্ট্রি’ লেখা থাকত। সিআরপি থাকায় কেউ ঘাঁটাতে সাহস পাচ্ছে না। ফলে পুলিশ বেশ কিছু গুরুতর অপরাধের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ঘটনাচক্রে, তাঁদের মধ্যে তৃণমূল নেতা ছং ভুটিয়া ও তার সঙ্গীকে প্রহারের অপরাধে চার অভিযুক্তও রয়েছে। তাদের তল্লাশিতে পুলিশ কালিম্পং চষে ফেলছে। এর মধ্য বেশ কয়েকটি মামলায় মোর্চা কর্মীদেরও নাম জড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পনেরো দিন আগে ঘটে যাওয়া একটি খুনের মামলার অভিযুক্তদের ধরে ফেলা হয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এখনই নাম না প্রকাশ করলেও দু’এক দিনের মধ্যেই ছবিটা পরিস্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। |