বাজেটে ভুল, দুই খণ্ডে সংশোধনী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাজেট পেশের পর দিনই দুই খণ্ডে তার সংশোধনী পেশ করল রাজ্য। এমন ঘটনা এর আগে এ রাজ্যে কখনও ঘটেনি বলে বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার বললেও বর্তমান স্পিকার তা মানতে নারাজ। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের কেউই মুখ খুলতে নারাজ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিধানসভা বসার কিছু পরেই সদস্যদের মধ্যে দু’টি বই বিলি করা হয়। ‘করিজেন্ডাম অফ বাজেট পাবলিকেশন’ শীর্ষক পুস্তিকার প্রথমটির পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫২ ও দ্বিতীয়টি ৩৪ পৃষ্ঠার। অর্থ দফতরের এক সূত্র জানান, মূল বাজেটে এমন অসংখ্য ভুলভ্রান্তি থেকে গিয়েছে যে, দুটি পুস্তিকায় তা সংশোধন করার চেষ্টা হয়েছে। সূত্রটি জানান, কোনও দফতরের কোনও বিশেষ খাতে বরাদ্দ অর্থের অঙ্ক নিয়েও ছাপার ভুল থেকে গিয়েছে মূল বাজেটে। সেগুলি সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছে দু’টি পুস্তিকায়। যেমন, মূল বাজেটে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ‘গ্রস এক্সপেন্ডিচার ফর ২০১৩-২০১৪’ খাতে দেখানো হয়েছে টাকার অঙ্ক ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৮ কোটি ৪ লক্ষ ৪৭ হাজার। এই অঙ্ক থেকে ৪২৩২ কোটি ৪০ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা বিয়োগ করে সংশোধনীতে আসল অঙ্ক দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। দু’টি পুস্তিকার পাতায় পাতায় এই ধরনের অসংখ্য ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত বলেন, “বাজেট নিয়ে আরও সতর্কতা দরকার ছিল।” বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অবশ্য এ নিয়ে এখন বিধানসভার বাইরে কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “এ নিয়ে যা বলার সভার ভিতর বলব।” প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আবদুল হালিম বলেন, “আমি যত দিন দায়িত্বে ছিলাম, তত দিন এমনধারা ঘটনা ঘটতে দেখিনি। কিন্তু এই সরকার কি কোনও নিয়মকানুন মানে?”
জবাব দিতে গিয়ে বর্তমান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কে বলল আগে এমন ঘটেনি। প্রতি বারই সংশোধনীর জন্য সময় দেওয়া হয়। এ বার বরং বাজেট পেশের পর দিনই ত্রুটি শুধরে নিয়েছে সরকার।” |