মনমোহনের সঙ্গে কথা বলুন মমতা, চান মানস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিরোধে না-গিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলোচনায় বসানোর জন্য অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে প্রস্তাব দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। বিধানসভায় মঙ্গলবার বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে মানসবাবু বলেন, “আপনাদের সরকারের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বারবার দিল্লি গিয়ে রাজ্যের স্বার্থে প্রচুর টাকা নিয়ে আসছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের সঙ্গে অনেক চিঠি চালাচালি হচ্ছে। তার মধ্যেও তিনি রাজ্যের স্বার্থে প্রচুর টাকা আনছেন। এর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিতে হবে। তাই মান-অভিমান, জেদাজেদি থেকে মুখ দেখা বন্ধ না-করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে টাকা নিয়ে আসুন মুখ্যমন্ত্রীও।” কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্য সরকারকে যথেষ্ট টাকা দিচ্ছে বলেও মানসবাবু তথ্য দিয়েছেন।
তাঁর দাবি, বেকারদের ভাতা দেওয়ার বিরোধিতা তিনি করছেন না। কিন্তু রাজ্যের ৭৩টি কর্মনিয়োগ সংস্থায় রাজ্যের যে ৭০ লক্ষ বেকার নাম লিখিয়ে রেখেছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে যাঁরা নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের ভাতা দিলে মনে হবে দলীয় কর্মীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিপিএমের আনিসুর রহমান, আরএসপি-র ঈদ মহম্মদ, ফরওয়ার্ড ব্লকের পরেশ অধিকারীরাও দাবি করেন, এই সুযোগ শুধু এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে সীমাবদ্ধ না-রেখে কর্মনিয়োগ কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত থাকা বেকারদের মধ্যে প্রসারিত করা হোক। সরকারি নীতি ঘোষিত হোক। তবে মানসবাবু যে ভাবে দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে মনমোহন-মমতা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে ফের কংগ্রেস-তৃণমূলকে কাছাকাছি আনার প্রয়াসের গন্ধ পাচ্ছে বাম শিবিরের একাংশ!
বাজেটে বৃহৎ শিল্পে ছাড়ের ব্যাপারে কোনও উল্লেখ নেই। এমনকী, এখনও শিল্পনীতিও ঘোষণা হয়নি। বৃহৎ শিল্প না-হলে রাজ্যের আর্থিক উন্নতি তেমন হবে না বলে ডিএসপি বিধায়ক প্রবোধচন্দ্র সিংহ বাজেটের সমালোচনা করেন। তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র, বিপ্লব রায়চৌধুরী, জোর্তিময় কর দাবি করেন, ভৌগোলিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে সারা রাজ্যে উন্নয়নের সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তৃণমূল বিধায়ক মোজাফ্ফর খান বলেন, ইমাম ও মোয়াজ্জিন ভাতা, ১০ হাজার মাদ্রাসার অনুমোদন দিয়ে রাজ্য সরকার মুসলিম সমাজের চাহিদা মেটানোর কাজ শুরু করেছে। |