৩৫৮ চাষিকে কাল কৃষিরত্ন দিচ্ছে রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, চাষ-আবাদে অবদানের জন্য প্রতিটি ব্লক থেকে এক জন চাষিকে বেছে নিয়ে দেওয়া হবে ‘কৃষিরত্ন’ পুরস্কার। সেই অনুসারে বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৩৫৮ জন চাষির হাতে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা শংসাপত্র এবং ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেবে কৃষি দফতর। বাম আমলে নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনাকে স্মরণে রাখতে ১৪ মার্চ রাজ্য জুড়ে ‘কৃষক দিবস’ পালন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সে-দিনই ব্লকে ব্লকে ওই পুরস্কার দেওয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কৃষকদের উৎসাহ দিতে এই পুরস্কার।” এর শংসাপত্র সব ব্লকে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “দেড় মাস আগে প্রতি ব্লকে কৃষি মেলা হয়েছিল। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেখানে কিছু কৃষককে চিহ্নিত করি। যাঁরা নানা ধরনের চাষ করেছেন, তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পশুপালনে সাফল্যের বিচারে ৫টি স্বনির্ভর দলকেও পুরস্কৃত করা হবে।”
|
নথিভুক্ত নবাগত জুনিয়র আইনজীবীদের ভাতা প্রদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল মঙ্গলবার। টাউন হলে এক অনুষ্ঠানে ২০১২ সালে নথিভুক্ত চার জন জুনিয়র আইনজীবীর হাতে ভাতার প্রথম কিস্তির টাকার চেক তুলে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্যের আইন বিভাগের অধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাডভোকেটস ওয়েলফেয়ার কর্পোরেশন এবং বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আনসার মণ্ডল জানান, এ বার ৩৫৩ জন জুনিয়র আইনজীবী এক বছর ধরে মাসে এক হাজার টাকা ভাতা পাবেন। আইনজীবীদের জন্য আবাসন প্রকল্পও হাতে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ দিনের অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের কর্মবিরতি বন্ধের আবেদন জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমলকুমার চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন আইন ও বিচার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ।
|
সচিব নিয়োগের মামলা খারিজ |
রাজ্যে পরিষদীয় সচিব নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিশাখ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি পরিষদীয় সচিব নিয়োগের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন। আবেদনে তিনি বলেন, পরিষদীয় সচিবের পদে নিযুক্ত ১৪ জনই মর্যাদায় প্রতিমন্ত্রীর সমান। প্রতিমন্ত্রীদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাঁরা। সংসদীয় নিয়মে বিধায়ক-সংখ্যার ১৫%কে মন্ত্রী করা যায়। এই হিসেবে রাজ্যে মন্ত্রীর সংখ্যা সর্বাধিক ৪৫ হতে পারে। পরিষদীয় সচিবেরা যেহেতু প্রতিমন্ত্রীর সমমর্যাদার, তাই মন্ত্রীর সংখ্যা ৪৫-এর বেশি হয়ে যাচ্ছে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত মঙ্গলবার মামলাটি খারিজ করে জানান, বিষয়টি জনস্বার্থের। আবেদনকারীরা মনে করলে নতুন জনস্বার্থ মামলা করতে পারেন।
|
কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, সচরাচর বাজেটের দিন লোকসভা বা বিধানসভার ভিজিটর্স গ্যালারিতে হাজির থাকেন অর্থমন্ত্রীর পরিজনেরা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দুই সহোদরা বিধানসভায় এলেন বাজেটের পরের দিন। ভাইয়ের বাজেটটা তাঁরা টিভিতেই দেখেছেন। অতিথি হিসাবে মঙ্গলবার দুপুরে অমিতবাবুর দিদি ও বোন যখন বিধানসভা ভবন, লবি, বিভিন্ন মন্ত্রীর ঘর ঘুরে ঘুরে দেখছেন, অধিবেশন কক্ষে নিজের আসনে বসে অর্থমন্ত্রী তখন নিবিষ্ট চিত্তে বাজেট বিতর্ক শুনছেন। দুই বোন এ দিন দেখে গিয়েছেন বিধানসভায় টাঙানো তাঁদের প্রয়াত পিতা, রাজ্যের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার হরিদাস মিত্রের তৈলচিত্রও। ভবন ঘুরে দেখার ফাঁকে সংবাদমাধ্যমকে অবশ্য নিজেদের নাম জানাতেও রাজি হননি দুই বোন। অমিতবাবুও ব্যাপারটাকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে জানিয়েছেন, তাঁর দিদি-বোন এর আগেও বিধানসভায় এসেছেন। কক্ষের বাইরে অমিতবাবু বলেন, “বাবা ডেপুটি স্পিকার থাকাকালীন দিদিরা এসেছে বিধানসভায়। আমি তো তখন বিদেশে। এ বার বাবার তৈলচিত্রটা দেখার কৌতূহলেই বিধানসভায় এসেছিল দিদি আর বোন।” |