খেলার টুকরো খবর
|
|
‘বকমারা ডাক্তার’
অর্ঘ্য ঘোষ • ময়ূরেশ্বর
(হারিয়ে যাওয়া খেলা, পর্ব ৩৪) |
|
বকমারা ডাক্তার খেলার ছবিটি তুলেছেন সোমনাথ মুস্তাফি। |
‘কানামাছি’-র সঙ্গে এই খেলার বেশ খানিকটা মিল রয়েছে। ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে একত্রে বা আলাদা ভাবে এই খেলায় যোগ দিতে পারে। গণনার মাধ্যমে প্রথমেই একজনের ‘মোর’ নির্ধারণ করে নেওয়া হয়। এই খেলায় মোরধারীকে বলা হয় ‘ডাক্তার’। আর বাকিরা হল ‘বক’। প্রথমেই গামছা বা কাপড়ের টুকরো দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলা হয় ডাক্তারের। সেই কাপড়ের ফাঁক দিয়ে ডাক্তার দেখতে পাচ্ছে কিনা, তা চোখের সামনে আঙুল নাচিয়ে পরখ করে দেখে নেয় বকেরা। তারপরে বকেরা একটি নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। এরপরে ডাক্তারের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি লাঠি বা গাছের ডাল (যার অগ্রভাগে কাদা বা আঁঠালো কোনও পদার্থ লাগানো থাকে)। ওই লাঠিকে (বা ডাল) এখানে বন্দুক হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়। নিয়ম হল, আন্দাজে ওই লাঠি (বা ডাল) ছুড়ে এক একটি করে বক লক্ষ্যভেদ করতে হবে ডাক্তারকে। ওই লাঠি (বা ডাল) শরীরে লাগা সত্ত্বেও অনেক সময়ই তা অস্বীকার করতে দেখা যায় বকেদের। কিন্তু লাঠির (বা ডাল) অগ্রভাগে লাগানো কাদা (বা আঁঠালো পদার্থ) জামাপ্যান্টে লেগে যাওয়ায় দাগের সৃষ্টি হয়। আর তা ধরা পড়লেই প্রতারণার দায়ে ওই বককে খেলা থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অন্যথায় লাঠি লেগে গেলেই বককে ওই গেমের জন্য ‘মরা’ হয়ে বসে থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্যভেদে সফল হওয়ার জন্য ডাক্তার পায় দশ পয়েন্ট। কিন্তু বন্দুক লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে, ডাক্তারের আবার ৫ পয়েন্ট (প্রতিবারে) কেটেও নেওয়া হয়। এই ভাবে একে একে সমস্ত বক-শিকার সম্পূর্ণ হলে ডাক্তারকে বকেদের দলে ঢুকতে হয়। তখন তার শিকার করা প্রথম বকটিকেই পরের বার ডাক্তারের ভূমিকা নিতে হয়। খেলা শেষে সংগৃহীত পয়েন্ট অনুযায়ী সর্বশ্রেষ্ঠ ডাক্তার অর্থাৎ বিজয়ী নির্বাচিত হয়। ময়ূরেশ্বরের রাতমা-র তুষার দত্ত বা সাঁইথিয়ার তিলপাড়ার সাগর মণ্ডল ছোটবেলায় খুব খেলেছেন ‘বকমারা ডাক্তার’। তাঁরা বলেন, “ওই খেলা খেলতে গিয়ে জামাপ্যান্টে প্রায়ই কাদা-মাটির দাগ লেগে যেত। আর ওই কারণে বাড়িতে কত যে বকা খেয়েছি!”
|
দুবরাজপুরে জয়ী কমলপুর |
দুবরাজপুরের কুলেকুড়ি সংস্কৃতি সঙ্ঘ পরিচালিত ১৬ দলীয় নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল খয়রাশোলের কমলপুর ক্রিকেট ক্লাব। ১০ মার্চ স্থানীয় ভৈরব মন্দির সংলগ্ন ক্লাব মাঠে এই খেলা হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কমলপুর ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বর্ধমানের খোট্টাডিহি কোলিয়ারি ক্লাব ১৫ ওভারে ১১৮ রানে অল আউট হয়ে যায়। কমলপুরের সৌরভ দাস ম্যান অফ দ্য ম্যাচ এবং খোট্টাডিহির শেখ ইমরান ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন। ক্লাবের সম্পাদক অনিন্দ্য মণ্ডল জানান, প্রতিযোগিতার উইনার্স এবং রানার্স দলকে ট্রফি-সহ চার হাজার ও তিন হাজার টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
|
বোলপুরে স্মৃতি ক্রিকেট |
|
বোলপুরে ৮ দলীয় মনা সেন স্মৃতি ক্রিকেট। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
বোলপুর ইয়ং টাউন ক্লাবের পরিচালনায় ৬ মার্চ থেকে বোলপুর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আট দলীয় মনা সেন স্মৃতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যোগদানকারী দলগুলি হল-- কলকাতা মন্থন ক্রিকেট ক্লাব, বোলপুর ইয়ং টাউন ক্লাব, সিউড়ি ক্রিকেট কোচিং সেন্টার, রামপুরহাট এ টু জেড, বর্ধমান জেলা পুলিশ, বর্ধমান মিলনী, বর্ধমান ডি.এফ.এফ, এবং কলকাতা ব্লুজ। ১৭ মার্চ ফাইনাল। আয়োজক সংস্থার তরফে পার্থসারথি চট্টরাজ জানান, উইনার্স ও রানার্স দলকে ট্রফি-সহ সাত হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
|
সিএবি -র ক্রিকেট |
মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত সিএবি পরিচালিত আন্তঃজেলা সিনিয়র ক্রিকেটে বাঁকুড়াকে হারাল পুরুলিয়া। মানভূম ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সচিব হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৬ মার্চ মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে পুরুলিয়া পরাজিত করে বাঁকুড়া জেলাকে। প্রথমে ব্যাট করে ৪২ ওভারে বাঁকুড়া ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে পুরুলিয়া ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২৫ .৫ ওভারে ১৬৩ রান তুলে জয়ী হয়। তার আগে ৫ মার্চের খেলায় মেদিনীপুর 68 রানে পুরুলিয়াকে হারিয়ে দেয়। প্রথমে ব্যাট করেত নেমে মেদিনীপুর ২৪৪ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পুরুলিয়া ১৭৬ রানে গুটিয়ে যায়।
|
মানবাজারে ভলিবল |
রবিবার মানবাজার রাধামাধব হাইস্কুলের মাঠে ডে -নাইট ভলিবল প্রতিযোগিতা হয়েছে। চন্দ্র মেমোরিয়াল ক্লাব আয়োজিত চন্দ্রনাথ রায় ও বৃন্দাবন দাস কাপ ১০তম এই ভলিবল প্রতিযোগিতায় বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা প্রভৃতি রাজ্য থেকে মোট ৮টি দল যোগ দিয়েছিল। চূড়ান্ত খেলায় আদ্রা, ঝাড়খণ্ডের বোকারো ভলিবল দলকে ৩ -২ সেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। মাঠে প্রচুর দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
|
চ্যাম্পিয়ন জয়কৃষ্ণপুর |
পাত্রসায়র স্পোটিং ইউনিয়ন পরিচালিত রামসুধীর চন্দ্র উইনার্স ট্রফি ও লেউল দত্ত স্মৃতি রানার্স কাপ নক আউট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বিষ্ণুপুরের জয়কৃষ্ণপুর কমলা সঙ্ঘ। সোমবার পাত্রসায়র ক্রিকেট মাঠে ফাইনাল ম্যাচটি হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জয়কৃষ্ণপুর কমলা সঙ্ঘ ১৬ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করে। জবাবে পাত্রসায়র একাদশের ইনিংস ১৫ ওভারে ৮০ রানে শেষ হয়ে যায়। জয়কৃষ্ণপুরের শান্তনু ঘোষ ম্যান অফ দ্য ম্যাচ এবং বাবলু রায় ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন।
|
জিতল পাত্রসায়র |
পাত্রসায়রের হাটকৃষ্ণনগর অন্নপূর্ণা অ্যাথলেটিক ক্লাব আয়োজিত নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল পাত্রসায়র একাদশ। রবিবার হাটকৃষ্ণনগর হাইস্কুল ফুটবল মাঠে প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ হয়। আয়োজক দল হাটকৃষ্ণনগর অন্নপূর্ণা অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারায় পাত্রসায়র একাদশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হাটকৃষ্ণনগর ১৪ ওভারে ৯২ রানে খেলা শেষ করে। জয়ের লক্ষে নেমে পাত্রসায়র একাদশ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।
|
জয়ী আমরা ক’জন |
হুড়া ব্লকের দেশবন্ধু ক্লাবের পরিচালনায় তৃতীয় বর্ষ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হল লালপুর টেলিকম ময়দানে। গত রবিবার ফাইনাল ম্যাচে হুড়ার আমরা ক’জন, স্থানীয় বাজ একাদশকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে। প্রথমে ব্যাট করে বাজ একাদশ ৯৪ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আমরা ক’জন ৮ .৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।
|
মিনি হ্যান্ডবল |
|
হ্যান্ডবল দল।— নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যস্তরের মিনি হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করল পুরুলিয়া জেলা। গত ৮ -১০ মার্চ হাওড়ার পাঁচলায় এই প্রতিযোগিতা হয়। লিগ পর্ব থেকে নকআউট পর্বে উঠে পুরুলিয়া সেমিফাইনালে পৌঁছায়। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার কাছে পরাজিত হয়। তবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণের ম্যাচে পুরুলিয়া জেলা হাওড়া জেলাকে পরাজিত করে।
|
সংক্ষেপে |
রঘুনাথপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হল গত রবিবার স্থানীয় এ টিম ময়দানে। ১০০ মিটার, ২০০ মিটার দৌড়, লংজাম্প, হাইজাম্প, তীরন্দাজি -সহ নানা ইভেন্টে পুরুষ ও মহিলাদের তিনটি করে বিভাগে মোট ৫৩০ জন প্রতিযোগী যোগ দেন। মিহির কুমার রায় স্মৃতি ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে প্রথম হন নির্মল মাহাতো।
|
|
বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ফাইনাল। ছবি: শুভ্র মিত্র। |
রামধনু সঙ্ঘকে ৫ উইকেটে হারিয়ে রথীন নাগ মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কাপ জিতে নিল ন্যাশনাল ক্লাব। বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফাইনাল খেলাটি হয়। ২ মার্চ শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ৮টি দল যোগ দিয়েছিল।
|
|
কুলগোড়ায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ছবি : প্রদীপ মাহাতো। |
রবিবার হুড়া ব্লকের কুলগোড়া ইউনিভার্সাল ক্লাবের উদ্যোগে ও রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের সহায়তায় দিনভর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হল। পুরুষ ও মহিলাদের ১৮টি বিভাগে প্রায় ৫০০ প্রতিযোগী যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়। |
|