জনস্বার্থ মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও দুবরাজপুর |
লোবা -কাণ্ড নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলাটি নিষ্পত্তি করে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে নতুন করে কোনও তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে তাঁরা মনে করছেন না। কৃষিজমি রক্ষা কমিটির হেফাজতে থাকা একটি খনি সংস্থার মাটি কাটার যন্ত্র ছাড়াতে গত ৬ নভেম্বর পুলিশি অভিযান হয়েছিল লোবা গ্রামে। পুলিশ -গ্রামবাসী সংঘর্ষে আহত হন অনেকে। পাঁচ গ্রামবাসী পুলিশের গুলিতে জখম হন বলে অভিযোগ। এক আইনজীবী হাইকোর্টে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট লোবা -কাণ্ড নিয়ে বীরভূমের নতুন এসপি মুরলীধর শর্মার কাছে রিপোর্ট তলব করেন। লোবায় পুলিশ আদৌ গুলি চালায়নি বলে দাবি করে হাইকোর্টে রিপোর্ট দেন এসপি। ওই ঘটনায় আহত পাঁচ গ্রামবাসী ওই মামলায় সংযুক্ত দরখাস্তকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। এ দিন হাইকোর্টে তার শুনানি হয়। তার পরেই হাইকোর্ট জানায়, তাঁদের কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁরা সিউড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জানাতে পারবেন। কমিটির আইনজীবী জিতেন পাল বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাওয়ার পরেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। আহতদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের লড়াই জারি থাকবে।”
|
রাস্তা -বিদ্যুৎ চেয়ে কমিটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
আশ্বাস মিলেছিল আদিবাসী গ্রামগুলিতে ২০১০ -১২ সালের মধ্যে বিদুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু মুরারই ১ ব্লকের আদিবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের গ্রামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। মঙ্গলবার আদিবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা ‘বিদ্যুৎ চাই, রাস্তা চাই’ নামে কমিটি গঠন করে মুরারই ১ ব্লকের বিডিও -র কাছে স্মারকলিপি দেন। তাঁদের আরও দাবি, গ্রামে ঢোকার রাস্তা থেকে গ্রামের সীমান্ত পর্যন্ত ৩ কিমি পাকা রাস্তা করতে হবে। গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মঙ্গল হেমব্রম, বাবুধন হেমব্রম, দেবীলাল বেসরারা বলেন, “গ্রামে ৭৬টি পরিবারের বাস। সকলেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের। গ্রামের আশপাশে হরিণডোবা, কাঁটাগড়িয়া, রুকুনপুর গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আমাদের গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত পৌঁছয়নি।” গ্রামে সরকারি নলকূপের সংখ্যা আরও বাড়ানো ও পুকুর খননের দাবিও জানান জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা। মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম বলেন, “খুব শীঘ্রই ওই গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছবে। গ্রামের ভিতর পর্যন্ত তিন কিমি রাস্তা জেলা পরিষদের প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মাণের জন্য ধার্য করা হয়েছে। নলকূপের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
|
বসন্তোৎসবে আশ্রম এ বার নিরিবিলি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
বসন্ত উৎসবের দিন আশ্রমের কোর এরিয়ায় সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল বিশ্বভারতী। পূর্বপল্লির মেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর, কলাভবন ও সঙ্গীতভবন চত্বরে এ বার কোনও অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না বলে ঠিক করেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর কর্মিমণ্ডলী ও উৎসব শাখার পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়। মূলত আশ্রম ও ঐতিহ্যবাহী এলাকায় বহিরাগতদের কার্জকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করতেই বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্ত। বিশ্বভারতী কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক সৌগত সামন্ত ও অরুণা মুখোপাধ্যায় এবং সাংস্কৃতিক শাখার সম্পাদক মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, “আশ্রমের মূল প্রাঙ্গন ও ঐতিহ্যবাহী এলাকায় কোনও রকমের উৎশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। বহিরাগতরাই শুধু নন, বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, কর্মী, এমনকী অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বলবৎ থাকবে।” তাঁদের পরামর্শ, “প্রয়োজনে পৌষ উৎসবের বাজির মাঠ, পূর্বপল্লি ছাত্রাবাসের সামনে এবং দর্শন ভবনের সামনে নাচ-গানের আসর করুন।”
|
স্বামীর উপর রাগ করে সোমবার সকালে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন এক বধূ। উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতে ঘুরতে রাতে নদিয়ার তারকনগরে স্টেশনে হাজির হন তিনি। তাঁর গতিবিধি অস্বাভাবিক ঠেকায় স্টেশনের দোকানদাররা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ ওই রাতেই তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানতে পারে, বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা ওই বধূ দিনমজুর স্বামীর সঙ্গে বিবাদের জেরে বাড়ি ছাড়েন। খবর দেওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে যান তিনি। |