চড় -কাণ্ডে অভিযোগ করা নিয়ে কাজিয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পঞ্চায়েত সচিবকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের মধ্যে। ওই ঘটনায় নিগৃহীত পঞ্চায়েত কর্মী পুলিশের কাছে অভিযোগ করলেও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে আইুনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান বা বিডিও কেউই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। উল্টে প্রধান বিডিও -র নামে দোষারোপ করে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। ওই আবেদনপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ‘পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে বিডিও আড়াল করছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয়।’
রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “আমি কেন আড়াল করব। প্রধানের সামনেই তো ঘটনাটা ঘটেছে। উনিই তো ব্যবস্থা নিতে পারতেন।” তাঁর দাবি, “প্রধানই আড়াল করছেন।” পঞ্চায়েত প্রধানের আবেদনপত্র পেয়ে রামপুরহাট মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “আড়াল করার কোনও জায়গা নেই।”
এ দিকে, রামপুরহাট ১ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতের কর্মীরা দখলবাটি পঞায়েতে কর্মী নিগ্রহের ঘটনায় রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও -র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার প্রতিবাদে একদিনের প্রতীকী ধর্মঘট পালন করলেন দখলবাটি পঞ্চায়েতের কর্মীরা। মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “পঞ্চায়েতে কমর্বিরতির কথা আমার জানা নেই। খবরের কাগজ পড়ে জানলাম। পরবর্তীতে বিডিও -র সঙ্গে আলোচনা করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে।” রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও মঙ্গলবারও বলেন, “পঞ্চায়েতের কর্মী আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। এ ছাড়া, পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তাই পঞ্চায়েতের প্রধান শাসক হিসেবে তাঁকেই অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।” মঙ্গলবার দখলবাটি পঞ্চায়েত প্রধান, কংগ্রেসের দীনবন্ধু মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, “আমার সামনে ঘটেনি। সব দিক বিবেচনা করে আমাকে করতে হবে।” |