|
|
|
|
পটাশপুরে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
তৃণমূল-কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও। আক্রান্ত তৃণমূলকর্মী সুরজিৎ জানার স্ত্রী দলেরই স্থানীয় চার নেতা ও এক কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তেরা হলেন, তৃণমূলের ব্লক কমিটির সদস্য অপরেশ সাঁতরা, অঞ্চল কমিটির সদস্য নবকুমার পণ্ডা, শেখ মালেক আলি, শেখ মেহমুদ ও কার্তিক হাজরা।
প্রসঙ্গত, সুরজিতের বিরুদ্ধে এলাকায় অস্ত্র চালান, বোমাবাজি, জমি দখল-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ২০১০ সালের ১২ নভেম্বর কালিনগরে একবার তাঁকে অস্ত্র চোরা-চালানে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু, ভূপতিনগর থানায় নিয়ে আসা হলে লক আপ থেকে তাঁকে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে যান।
সেই ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অপরেশ সাঁতরার সঙ্গেই পরবর্তীকালে এলাকার ক্ষমতা দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে সুরজিতের। উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে টিকিট পাওয়া দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে বলে খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত বারোটা নাগাদ মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় পটাশপুর থানা এলাকার ব্রজবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা সুরজিতকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রাতেই তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে সুরজিতের।
পটাশপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অপরেশ সাঁতরার অবশ্য বক্তব্য, “সুরজিৎ মদ্যপ অবস্থায় মোটর সাইকল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। গোষ্ঠী রাজনীতির জন্য তার দায় আমাদের উপর চাপানো হল।”
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করলেও বলেন, “এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। পুলিশ তদন্ত করার পাশাপাশি আমারাও দলীয় ভাবে ঘটনার তদন্ত করব। অপরাধীদের শাস্তি চাই।” |
|
|
 |
|
|