|
|
|
|
জাল সই কাণ্ড |
জেল প্রাক্তন উপপুরপ্রধান, কাউন্সিলরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাইকোর্ট আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। পরিস্থিতি দেখে শেষ পর্যন্ত মেদিনীপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী তথা মেদিনীপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ। মঙ্গলবার দু’জন মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন। দু’জনকেই আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অবৈধ ভাবে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য পুরসভার স্ট্যাম্প এবং রসিদ জাল করার অভিযোগ উঠেছিল মেদিনীপুরে। দেখা যায়, জলের সংযোগের জন্য বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অর্থ দিলেও তা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি। ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ এসেছিল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে।
প্রথমে পুর-কর্তৃপক্ষ ‘তদন্ত চলছে’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ এই ঘটনা নিয়ে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুভাষময় ঘোষ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘোষ (সুভাষময়বাবুর স্ত্রী), উৎপল চট্টোপাধ্যায় এবং অমিতাভ মল্লিকের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ। উৎপলবাবু পুরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদার। অবৈধ ভাবে বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। অমিতাভবাবু ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, এই ব্যক্তি সই জাল করে অর্থ আদায় করেছেন। যা পুরসভার প্রাপ্য।
মামলা রুজুর পর সুভাষময়বাবুরা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। পরিস্থিতি দেখে মঙ্গলবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পন করেন প্রাক্তন উপ- পুরপ্রধান এবং তাঁর স্ত্রী তথা ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আগামী ২৬ মার্চ ফের এঁদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হবে। |
|
|
|
|
|