|
|
|
|
হলদিয়া পুরসভা |
বোর্ড মিটিং নির্বিঘ্ন করতে এসপি-কে দায়িত্ব হাইকোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও হলদিয়া |
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে হলদিয়া পুরসভার বৈঠক নির্বিঘ্ন করার দায়িত্ব দিল হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবার পুরসভার বাজেট অধিবেশন। তার আগেই এই রায়ে তাই খুশি পুর-কর্তৃপক্ষ।
তৃণমূলের বাধায় বোর্ড মিটিং ভেস্তে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হলদিয়া পুরসভার পুরপ্রধান-সহ ১৫ জন বাম কাউন্সিলার। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও জানিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার এই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়ে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “১৫ মার্চ বেলা দু’টোয় পুরসভা ভবনে বোর্ডের বাজেট বৈঠক হবে। ওই বৈঠকের সময় কাউন্সিলার এবং পুরসভার কর্মী ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি পুরভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। পুলিশ সুপারকে তা নিশ্চিত করতে হবে। পরেও যখনই পুরবোর্ডের বৈঠক হবে, পুলিশকে এই এক ব্যবস্থা নিতে হবে।”
হাইকোর্টের এই নির্দেশ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে অবশ্য সংশয়ে পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ। প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্ত্রী তমালিকাদেবী এ দিন বলেন, “রায় বাস্তবায়িত হলে আমি খুশি হব। তার আগে নয়। কারণ পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় থাকবে কি না, তা যাঁর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তাঁর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। এবিজির ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল।” এবিজি-র প্রসঙ্গ তুলে কী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর দিকে ইঙ্গিত করছেন তিনি? তমালিকাদেবীর জবাব, “আমি কোনও নাম নেব না।” মন্তব্য করতে চাননি শুভেন্দুও। পুরসভার বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল অবশ্য এ দিনও দাবি করেন, “আমরা কোনও দিনই বোর্ড মিটিংয়ে বাধা দিইনি। আগামী দিনেও দেব না। ওরাই বরং অন্যত্র মিটিং করছে।” মুখে কুলুপ প্রশাসনের। জেলার পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ছুটিতে।” জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকির প্রতিক্রিয়া, “আদালতের রায় জানি না। সেটা না দেখে কিছু বলা যাবে না।” গত জুনে পুর-নির্বাচনে ২৬টি আসনের ১৫টিতে জিতে হলদিয়া পুরসভা পুনর্দখল করে বামেরা। তৃণমূলের বাকি ১১ জন কাউন্সিলার প্রথম থেকেই পুরসভার কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তমালিকাদেবীর। আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “নির্বাচিত বোর্ড কাজ করতে পারছে না জেনেও পুলিশ বা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” |
|
|
|
|
|