|
|
|
|
ফের রাজনৈতিক অসৌজন্য |
পাট্টা বিলিতেও অনাহূত বিরোধীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পাট্টা বিলিকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে এল রাজনৈতিক অসৌজন্যের ছবি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন ব্লকে পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন কেবল তৃণমূল বিধায়করাই। অভিযোগ, আমন্ত্রণই জানানো হয়নি অন্য দলের স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদদের।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২৯টি ব্লক। জেলায় বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯টি। এর মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ৮, কংগ্রেসের ২ জন। বাকি বামফ্রন্টের। জেলার ২৯টি ব্লকে পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কেবল তৃণমূল বিধায়করাই। অনাহূত রয়েছেন অন্য দলের বিধায়ক বা সাংসদরা। যেমন, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ডেবরা ছাড়াও পিংলা, সবংয়ে পাট্টা বিলি করতে যাচ্ছেন ডেবরার বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি নিজের বিধানসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর এবং চন্দ্রকোনাতে পাট্টা বিলি করেছেন। আবার ১৩ তারিখ তিনিই কেশপুরে যাবেন পাট্টা বিলি করতে। অন্য দিকে, কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই, চন্দ্রকোনার সিপিএম বিধায়ক ছায়া দোলুই সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি। পিংলা থেকে জয়ী হয়ে আসা মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যও পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে ডাক পাননি।
বিরোধীদের অভিযোগ, “মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রচার করতেই পঞ্চায়েতের আগে এই পাট্টা বিলির ব্যবস্থা। এই কারণেই স্থানীয় বিধায়ক বা সভাধিপতিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।” কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই বলেন, “আমন্ত্রণ জানানো দুরের কথা, ফোনেও বলা হয়নি। আমরা বারবার বলেছি, সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় থাকা জরুরি। কিন্তু কেউ তা না মানলে কী করা যাবে।” সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যও বলেন, “জেলার পাট্টা বিলি করা হচ্ছে, অথচ আমরা কিছুই জানতে পারলাম না!”
কেন বিরোধীদের ডাকা হয়নি এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে মৃগেনবাবু বলেন, “এটা তো সরকারি অনুষ্ঠান। আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাই বিভিন্ন ব্লকেই যাচ্ছি। সবার আগে তো গরিব মানুষকে জমি দেওয়া প্রয়োজন।” এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক কর্তারা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয়ভাবেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে কোন বিধায়ক কোন ব্লকে পাট্টা বিলি করবেন। সেই মতোই কাজ হচ্ছে।
এ বার জেলার ৬ হাজার মানুষকে ৩১৫৮টি পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। জমির পরিমাণ ১২৬ একর ৩৪ ডেসিম্যাল। ৭ তারিখ থেকে পাট্টা বিলি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ১৪টি ব্লকে পাট্টা বিলি হয়ে গিয়েছে। বাকি ১৫টি ব্লকে মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যেই পাট্টা বিলির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|