|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা |
ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তৃণমূল, প্রতিবাদ কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
পদে না থেকেও তৃণমূলের জহরলাল পাল খড়্গপুরের পুরপ্রধানের স্ট্যাম্প এবং প্যাড ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলল কংগ্রেস শিবির। ইতিমধ্যে নির্দল কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মা পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সত্যদেও কংগ্রেস-শিবিরে আছেন। জহরবাবুর অবশ্য দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। আর ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর বক্তব্য, “যদি এমনটা হয় থাকে, তা ঠিক হয়নি।”
ক’দিন আগে তিন সিপিআই কাউন্সিলর মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়ে জানান, তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে। এতে চাপে পড়ে যায় কংগ্রেস শিবির। এ বার জহরবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তৃণমূল-শিবিরকে কিছুটা চাপে রাখার চেষ্টা হল। কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে ক’মাস ধরে চাপানউতোর চলছে খড়্গপুরে। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলছে। জহরবাবুই পুরপ্রধান ছিলেন। এখন দায়িত্ব পদ সামলাচ্ছেন উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরী।
এক সময় পুর-দফতর নির্দেশিকা দিয়েছিল, অনাস্থা-বৈঠকের বিষয়টি দফতরের লিগাল সেলের বিবেচনাধীন। যতক্ষণ না সেল মতামত দিচ্ছে, ততক্ষণ জহরবাবু পুরপ্রধানের কাজকর্ম দেখভাল করবেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস- শিবির। হাইকোর্ট জানায়, পুর-আইন অনুযায়ী পরবর্তী পুরপ্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার কাজ চালিয়ে যাবেন উপ-পুরপ্রধান। সেই মতো দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তুষারবাবু।
রবিবার খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করে সত্যদেও শর্মা জানা, জহরলাল পাল পুরপ্রধানের পদে নেই। অথচ, পুরপ্রধানের স্ট্যাম্প এবং প্যাড ব্যবহার করছেন। তিনি প্রয়োজনীয় নথিও থানায় জমা দেন। প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “পুলিশ পদক্ষেপ না করলে রাজনৈতিক ভাবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা হবে।” বিষয়টি তাঁরা হাইকোর্টে জানাচ্ছেন বলেও রবিশঙ্করবাবু জানান। জবাবে জহরলালবাবুর বক্তব্য, “আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ নিয়ে যেখানে জবাব দেওয়ার সেখানে জবাব দেব।” |
|
|
|
|
|