বেআইনি বালির লরি জমির উপর দিয়ে যাওয়ায় উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, এই অভিযোগে এ বার বাঁকুড়ার সোনামুখীর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন লালবাবা মানার বাসিন্দারা। পরে কাঁকসা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। |
এ ধারে জল, ও ধারে জল, মধ্যে দামোদরের চর খুঁড়ে উঠে আসছে বালি।
তার জন্য বাঁধা হয়েছে ঘর, নামানো হয়েছে যন্ত্র। আসানসোলে ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার। |
লালবাবা মানা সোনামুখী ব্লকের অধীনে। তবে তা কাঁকসা থানার মধ্যে পড়ে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দামোদর থেকে বিনা অনুমতিতে অবাধে বালি তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলে কিছু দিন তা বন্ধ থাকে। দিন কয়েক পরে ফের শুরু হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য এই সব বালির লরি ও ট্রাক্টর রাস্তা ছেড়ে চাষের জমির উপর দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। বাসিন্দাদের কাছে অভিযোগ পেয়ে এ দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রামে যান সোনামুখীর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বেআইনি বালির কারবার বন্ধ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না নির্দিষ্ট আশ্বাস না মিলছে তত ক্ষণ ঘেরাও তোলা হবে না বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। ঘণ্টা দুয়েক পরে কাঁকসা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা জানান, বাসিন্দাদের দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বালি ব্যবসায়ীরা অবশ্য গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা মানতে চাননি। ব্যবসায়ী বৈদ্যনাথ ঘোষ, দেবরঞ্জন হাজরাদের দাবি, তাঁদের কাছে বালি তোলার বৈধ কাগজপত্র আছে। রাজস্বও জমা দেন নিয়মিত। চাষের জমির উপর দিয়ে নয়, নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়েই তাঁরা লরি নিয়ে যাতায়াত করেন। উল্টে তাঁদের অভিযোগ, নদের চরে নিজেরা খরচ করে রাস্তা তৈরি করেছিলেন। তা কেটে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার নীচের নিকাশি পাইপও। গ্রামবাসীরা আবার এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, শীঘ্র দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে। |