|
|
|
|
রাঁচি পুর-ভোট |
বাস যেখানে, কাউন্সিলর পদে সেখানেই লড়তে হবে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
জন প্রতিনিধির সঙ্গে নাগরিকদের যোগাযোগ নিবিড় করতে আইন সংশোধন করছে ঝাড়খণ্ড সরকার। রাজ্যের পুর আইনে নতুন সংশোধনী এনে যে খসড়া বিলটি তৈরি হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে, পুর নির্বাচনে কোনও ওয়ার্ডের প্রার্থীকে সেই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা হতে হবে। অর্থাৎ সেই ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম থাকতে হবে। যে ওয়ার্ডে তাঁর নাম নেই সেখানে তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। আগামী ৭ এপ্রিল রাঁচিতে পৌর নির্বাচন। তার আগে প্রস্তাবিত নতুন বিলটিকে ঘিরে জোর চাপান-উতোর শুরু হয়েছে এখানে। নতুন আইনের প্যাঁচে পড়ে রাঁচি নগর নিগমের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরই এ বারে আর তাঁদের পুরনো আসনে দাঁড়াতে পারবেন না।
প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, এই নতুন ব্যবস্থা তৈরির পিছনে দু’টি কারণ রয়েছে। প্রথমত, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় জন প্রতিনিধিরা বসবাস করেন এক জায়গায়। আর তাঁদের কর্মক্ষেত্র হয় অন্য জায়গায়। ফলে অভিযোগ ওঠে জন প্রতিনিধিকে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় না। বিপদের সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। এলাকার উন্নয়নের কাজের জন্য হোক কিংবা জন প্রতিনিধির সার্টিফিকেটের প্রয়োজনের জন্যই হোক---নাগরিকদেরই দৌড়তে এদিক থেকে ওদিক হয়। নতুন ব্যবস্থায় জন প্রতিনিধিকে নাগালের মধ্যেই পাবেন নাগরিকরা
দ্বিতীয়ত, নতুন ব্যবস্থার ফলে পৌরসভার কাজকে রাজনৈতিক গোষ্ঠীবাজির নিয়ন্ত্রণ থেকে অনেকটাই মুক্ত করা সম্ভব হবে। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, “পুরসভায় নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে অনেক সময়ই রাজনৈতিক নেতারা চান তাঁদের পছন্দের লোকজনকে কাউন্সিলর করতে। এতদিন নিয়ম না থাকায় যে কোনও ব্যক্তিকেই যে কোনও ওয়ার্ড থেকে দাঁড় করানোয় কোনও বাধা ছিল না। কিন্তু এ বার আর সে সুযোগ নেই। পাশাপাশি, শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে অনেকে এক ওয়ার্ডে টিকিট না পেলে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে নির্বাচন লড়তেন। এবার তাও বন্ধ হয়ে যাবে।”
তবে এখনই প্রস্তাবিত এই সংশোধনী নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুনতে রাজি নয় প্রশাসনিক কর্তারা। রাঁচির ডেপুটি কমিশনার বিনয়কুমার চৌবে বলেন, “পুর আইনে এই সংশোধনীর প্রস্তাব আসে ২০১১ সালে। যাঁরা বিলটি তৈরি করেছে তাঁরা নিশ্চয় কিছু ভেবেই তা করেছেন।” |
|
|
|
|
|