|
|
|
|
রামের দেহে আঘাতের চিহ্ন, দাবি পরিবারের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
আত্মহত্যাই করেছে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বাসচালক রাম সিংহ। মঙ্গলবার, রাম সিংহের দেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর এ কথাই জানাল দিল্লি পুলিশ।
এ দিন ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে রাম সিংহের মৃত্যু নিয়ে দু’পাতার একটি রিপোর্ট পেশ করেন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মেনে তুলে ধরা হয় আত্মহত্যার তত্ত্বই।
সোমবার ভোররাতে ৩ নং তিহাড় জেলের একটি সেল থেকে উদ্ধার হয় রাম সিংহের ঝুলন্ত দেহ। জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, আত্মহত্যা করেছে সে। তবে তা মেনে নেননি রামের পরিবার ও তার আইনজীবী। তাকে খুন করা হয়েছে এই দাবি করে সিবিআই তদন্ত চান তাঁরা। |
|
মর্গের সামনে রাম সিংহের বাবা-মা। ছবি: পিটিআই |
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ শুরু হয় ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্তের শেষে রাম সিংহের মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের হাতে। প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে রামের। তবে রাম সিংহের ভাইয়ের দাবি, পরিকল্পনামাফিক তাকে খুন করা হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, রাম সিংহের মৃতদেহে ছিল প্রচুর আঘাতের চিহ্ন। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা বলেছেন রামের বাবাও। পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত রাম সিংহের প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল প্রথম থেকেই। তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার সতর্কবার্তাও দেয় দিল্লি পুলিশ। তবে কর্তৃপক্ষ তাতে কান দেননি। তিহাড় জেল চত্বরে ব্যবহৃত মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, রাম সিংহকে কোর্টে পেশ করার সময় তাকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল অন্য বন্দিদের। যার জেরে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে শুনানির সময় আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হত অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। |
|
|
|
|
|