মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার পদে বাঙালি
মেঘালয়ে প্রথম এক বাঙালি স্পিকার পদে নির্বাচিত হয়ে নজির গড়লেন। রাজ্যের ইতিহাসে আবু তাহের মণ্ডলই প্রথম বাঙালি মন্ত্রী হন। তবে মণ্ডল নজির গড়লেও মেঘালয়ের রাজনীতিতে বাঙালিদের উপস্থিতি নস্যাৎ হওয়ারই মুখে।
নবম মেঘালয় বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের দুই প্রার্থী ছিলেন ফুলবাড়ির আবু তাহের মণ্ডল ও দক্ষিণ শিলং-এর মানস চৌধুরী। মণ্ডল জিতলেও, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও দু’বারের বিধায়ক মানসবাবু হেরে যান। ফলে ১৯৭২ সালে প্রথম বিধানসভা গঠনের সময় রাজ্যে ১১ জন বাঙালি বিধায়ক ছিলেন। নবম বিধানসভায় তা দাঁড়াল একে। গত মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার ঘনিষ্ঠ আবু তাহের বিদ্যুৎ, পরিবহণ, জনসংযোগ, আবগারির মতো চারটি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এ বার গারো পাহাড় থেকে মন্ত্রিত্বের অনেক দাবিদার হওয়ায় মুকুলকে স্পিকার পদ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
১৯৯৮-এ বি বি লিংডোর আমলে মণ্ডলই প্রথম বাঙালি মন্ত্রী হন। এইচএসপিডিপি ছাড়া বাকি দলগুলির সমর্থনে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মণ্ডল স্পিকার মনোনীত হন। অবশ্য খানম ও খাসি ছাত্র সংগঠন ‘অ-ভূমিপুত্র’কে স্পিকার করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। গারো পাহাড়ের এক মাত্র বাঙালি রাজ্য রাজনীতিতে থেকে গেলেও, খাসি পাহাড়ে বিজিত ও এক মাত্র বাঙালি প্রতিনিধি মানস চৌধুরী ভাবছেন, মেঘালয় বাঙালিদের পক্ষে নেতিবাচক হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, “বাঙালি পিঠ বাঁচাতে গিয়ে সিট হারাচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, “এনসিপির জয়ী বিধায়ক সানবর সুলাই বাঙালি পাড়ায় ভয় দেখিয়ে বলেন, আমায় ভোট দিলে পাড়া-ছাড়া হতে হবে। সাড়ে ২৭ হাজার ভোটের মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার বাঙালির অনেকে প্রাণ বাঁচাতেই আমায় ভোট দেননি। আর হিন্দিভাষীদের ভোট টানতে চলেছে টাকার খেলা।” তবে সানবর অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “খাসিরা যেমন আমার আপন, বাঙালি বা অন্য উপজাতিরাও তাই। দীর্ঘদিন আমরা এক সঙ্গে বসবাস করছি। আমার বিধায়ক হওয়ার পিছনে বাঙালিদের অনেক অবদান রয়েছে। কাউকে ভয় দেখিয়ে ভোট টানতে হয়নি।” স্থানীয় বাঙালিদের বক্তব্য, অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য ও সৎসঙ্গ বিহারের সদস্য হওয়া ও লাবানে বড় দুর্গাপুজো করার ফলে সানবর বাঙালিদের আস্থা অর্জন করেছিলেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.