একশো দিনের কাজ দেওয়া-সহ বিভিন্ন দাবিতে মানকর পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূলের নেতৃত্বে তালা লাগিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, প্রায় আট মাস ধরে এলাকায় একশো দিনের কাজ হচ্ছে না। প্রধানের কাছে বারবার জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। এ ছাড়া পানীয় জলের অভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে।
এ সব দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মী তখন ভিতরেই ছিলেন। বাকি কয়েক জন কর্মীকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাসিন্দারা দাবি করেন, বিডিও-কে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। এই সময়ে পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান, উপপ্রধান বা কোনও পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন না। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় এক সিপিএম নেতাকে টানাহ্যাঁচড়া করেন বলেও অভিযোগ। |
তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানকর পঞ্চায়েত ছাড়া ব্লকের অন্য সব পঞ্চায়েতেই একশো দিনের কাজ হচ্ছে। শুধু এখানে কোনও কাজ না দেওয়ায় অসুবিধায় পড়ছেন মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য গুপ্ত, অজয় হাজারিরা বলেন, “পঞ্চায়েত একশো দিনের কাজ চালু করা নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে না। বারবার জানালেও ফল মেলেনি।” আর এক বাসিন্দা সহদেব বাউড়ি জানান, কাজ বন্ধের ফলে অনেকেরই খুবই কষ্টে দিন কাটছে। অবিলম্বে একশো দিনের কাজ চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রবীর দত্তের দাবি, “একশো দিনের কাজ বন্ধ থাকায় এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ। অবিলম্বে তা চালু করতে হবে।” বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বারবার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এবং বিডিও-কে জানিয়েও ফল না হওয়ায় এ দিন তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে দেন। বিডিও এবং প্রধান গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই তালা খোলা হবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। বিক্ষোভে নেতৃত্বে দেওয়া স্থানীয় তৃণমূল নেতা সীতারাম গোস্বামী জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ ব্লক অফিস থেকে দু’জন প্রতিনিধি আসেন। তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবার বিডিও এসে প্রধান ও গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভকারীরা আশ্বস্ত হননি। তাঁরা জানান, বৃহস্পতিবারই বিডিও-র উপস্থিতিতে অফিসের তালা খোলা হবে। এর পরে বিকেল ৩টে নাগাদ ভিতরে থাকা পঞ্চায়েত কর্মীদের বের করে বিক্ষোভকারীরা একটি তালা লাগিয়ে দেয়। কর্মীদের তরফেও একটি তালা লাগানো হয়।
মানকর পঞ্চায়েতের প্রধান সুরজিত্ বাউড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। গলসি ১ বিডিও ব্রততী মিত্র জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |