দক্ষিণ দিনাজপুরে ছড়িয়ে থাকা প্রাচীন আমলের নিদর্শনগুলি রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগী হল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। বালুরঘাটের তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থান খাঁপুর এলাকার প্রাচীন সিংহবাহিনী মন্দিরকে হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধি দল খাঁপুরে গিয়ে ওই মন্দির ঘুরে দেখেন। ছিলেন কমিশনের পরামর্শদাতা অনিন্দ্য বসু।
ছোট ছোট পোড়া ইটের তৈরি প্রাচীন আমলের চারচালা মন্দিরের টেরাকোটার কাজ দেখে কমিশনের প্রতিনিধিরা অবাক হয়ে যান। খিলান ও কড়ি বরগাতে অপরূপ কারুকাজ অটুট। সিংহরায় পরিবারের বংশধর উদয় সিংহরায় বলেন, “বিদেশি পর্যটকেরা প্রতি বছর এসে মন্দিরের ইটের নমুনা নিয়ে যায়। আমরা চাই হেরিটেজ কমিশন মান্দিরের দায়িত্ব গ্রহণ করুক।” সিংহরায় পরিবার মন্দিরে পুজোর আয়োজন করে। রবিবার তাঁরা প্রায় তিনশো বছর আগের জমির নথি কমিশনের প্রতিনিধিদের দেখান। |
খাঁপুর এলাকার প্রাচীন সিংহবাহিনী মন্দির। —নিজস্ব চিত্র। |
অনিন্দ্যবাবু বলেন, “কমিশনের কাছে ওই মন্দির নিয়ে রিপোর্ট পেশ করা হবে। হেরিটেজের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।” প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইতিহাসবিদ বৃন্দাবন ঘোষ। দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটির সহ সভাপতি তূহিনশুভ্র মন্ডল বলেন, “জেলা জুড়ে অন্তত ৭৪টি প্রত্ন নিদর্শন এবং ঐতিহাসিক স্থানকে হেরিটেজের আওতায় আনতে তালিকা করে বিভাগীয় দফতরে জমা করা হয়েছে। গঙ্গারামপুরের বানগড়, কুশমন্ডির নীলকুঠি, হরিরামপুরের জগদলা মহাবিহার, তপনে মনোহলির জমিদার বাড়ি, পোড়াগাছির মন্দির, করদহের শিবমন্দির, নাজিরপুরের স্তূপের উল্লেখ তালিকায় রয়েছে।”
সোসাইটি সদস্যরা জানান, জেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাল, সেন এবং সুলতান আমলের ঐতিহাসিক নিদর্শন অবহেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে। তারমধ্যে খাঁপুরের সিংহবাহিনী মন্দির অন্যতম। |