দেড় বছর চিকিৎসক নেই। ফার্মাসিস্টের ভরসায় চলছে রতুয়ার মহানন্দাটোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেটাও সপ্তাহে তিন দিন। মালদহে ফুলহার নদীর ওপারে স্বাস্থ্য পরিষেবার এমন বেহাল দশায় বিপাকে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ৭৫ হাজার মানুষ। চিকিৎসকের জন্য কয়েকবার দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হালে ক্ষুব্ধ রতুয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ফুলহারে চর এলাকার বাসিন্দাদের কথা কেউ ভাবে না। ওখানে নামে এক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে আমি ওই বিষয়টি তুলব।” যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিধান মিশ্র বলেন, “রতুয়া-১ ব্লকে চিকিৎসক কম থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত চিকিৎসক পাঠানোর চেষ্টা চলছে।” স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় বছর আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এর পরে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। এক জন ফার্মাসিস্ট সপ্তাহে ৩ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা রেখে কোনও মতে পরিষেবা টিকিয়ে রেখেছেন। অভিযোগ, চর এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক বেশি দিন থাকতে চান না। ফুলহারের ওপারে মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দৈনিক পাঁচশো রোগী ভিড় করেন। কিন্তু চিকিৎসক না-থাকায় মামুলি জ্বর বা সর্দি-কাশি ছাড়া প্রত্যেককে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রতুয়ায়। নদী পার হয়ে ১৫ কিমি দূরে রতুয়ায় যেতে বিপাকে পড়েন রোগীরা। চর এলাকায় যাতায়াতের তেমন ব্যবস্থা নেই। মাটি ও বালির রাস্তা পেরিয়ে শহরে যেতে হয়। বর্ষায় কষ্ট আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা তপন মণ্ডল বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেও নেই। এ ভাবে কত দিন চলবে জানি না।” জগন্নাথ মণ্ডল, আসরাফুল হক জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বার চিকিৎসকের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কেউ বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। |