এক মাসও হয়নি মহকুমাশাসক পরিদর্শন করে সতর্ক করেছিলেন কর্মীদের। কয়েকজন দালাল’কে অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফের নজরে পড়লে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। আখেরে, কোনও পরিবর্তনই হয়নি পরিবহণ দফতরের শিলিগুড়ি মহকুমা অফিসের। দালালদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিতে জন্য যে দু’জন নিরাপত্তী রক্ষী সেখানে ছিলেন তাঁরাও এখন নেই। অভিযোগ, গোটা অফিস দালাল দখলে চলে গিয়েছে। নতুন লাইসেন্স বা নবিকরণ করাতে কেউ সরাসরি সেখানে গেলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক রচনা ভগত বলেন, “বেশ কিছু অভিযোগ কানে এসেছে। কিন্তু সবসময় সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। ওই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন করে অভিযোগ ওঠায় সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।” মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক রাজেন সুনদাস বলেন, “আমার পক্ষে সব সময় বাইরে গিয়ে দেখা সম্ভব নয় কে কি করছে। এটুকু বলতে পারি কেউ অসুবিধেয় পড়লে আমার কাছে আসতে পারেন। এ ছাড়া যে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন তারা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। নতুন করে নিরপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হবে।”
ফাঁসিদেওয়ার এক বাসিন্দা পরেশ রায় সোমবার লাইসেন্স করাতে ওই অফিসে যান। তিনি বলেন, “আগে এক বার নিজে চেষ্টা করেছিলাম। কাজ হয়নি। পরে আমাকে কয়েকজন বলে ওই ভাবে করতে গেলে জুতো ক্ষয়ে হয়ে যাবে, কাজ হবে না। এক হাজার টাকা দিয়ে এ বার এক জনকে ধরেছি। সে সমস্ত কাজ করে দিচ্ছে।” মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক কর্মীদের কারও দালালদের সঙ্গে যোগ নেই বলে দাবি করেন। কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, “অফিসে দুই ঘণ্টা দাঁড়ালেই বোঝা যাবে কী চলছে সেখানে।” |