দীর্ঘদিনের কাঠের সেতু। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে কাঠের পাটাতন। তবু ঝুঁকি নিয়েই ওই সেতু দিয়ে পারাপার করছেন মানুষ।
সত্তরের দশকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে কেষ্টপুর খালের উপর তৈরি হয় কাঠের সেতুটি। উত্তর ২৪ পরগনার বিদ্যাধরী নদীর সঙ্গে মিশে যাওয়া এই খালে এক সময় নৌকা চলাচল করত। তাই সেতু তৈরির সময় দুই দিকে ঢালু ও মাঝখানটি উঁচু করে তৈরি করা হয়। বর্তমানে খালের সঙ্গে বিদ্যাধরী নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ নৌকা চলাচলও। |
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ভাঙরের ১ ও ২ নম্বর ব্লকের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এই কাঠের সেতুটি নির্মিত হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটির কোনও সংস্কার হয়নি। অথচ প্রতিদিনই এই সেতু দিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, কাজে বের হওয়া হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল মোল্লা, সইদুল মোল্লারা বলেন, “বহু পুরনো সেতুটির এখন খারাপ অবস্থা। কিন্তু তার সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও নজরই নেই। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না।” তা ছাড়া সেতুটির মাঝখান অনেকটা উঁচু হওয়ায় মালপত্র নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যায় পড়তে হয় বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, সেতুর অবিলম্বে সংস্কার না হলে যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা, কিছুদিন পরেই ভাঙড়ে শুরু হচ্ছে মেলা। মেলা উপলক্ষে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেতুর উপরে চাপ পড়বে। কোনওরকম দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে?
বিডিও অরুণ সেনগুপ্ত বলেন, “সেতুটির অবস্থা যে খারাপ তা জানি। সেতু সংস্কারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।”
|