|
|
|
|
অনুদান না-পেয়ে ফিরলেন চাষিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
অনুদান দেওয়ার জন্য ব্লক অফিসে ডেকেও খালি হাতে ফেরানো হল ফুলচাষিদের।
ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশনের বরাদ্দ টাকায় অনুদান দেওয়ার জন্য সোমবার কোলাঘাট ব্লক অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রায় তিনশো জন ফুল চাষিকে। সময় মতো চাষিরা ব্লক অফিসে পৌঁছে গেলেও এ দিন টাকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন ব্লক অফিসের কর্মীরা। অযথা এই হয়রানিতে ক্ষুব্ধ ফুলচাষিরা। পুলশিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নোনাচক গ্রামের ফুল চাষি গোবিন্দ আদক, সাওড়াবেড়িয়া গ্রামের ফুল চাষি হরেকৃষ্ণ মান্না বলেন,, “ব্লক অফিস থেকে ডেকেছিল। ওরাই ফিরিয়ে দিল। কোনও কারণ বলল না। মাঝখান থেকে আমাদের দিনটা নষ্ট হল।”
উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুল চাষে সাহায্যের জন্য এককালীন আর্থিক অনুদান দেয় ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশন। উদ্যান পালন দফতরের মাধ্যমে ওই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। অনুদান পাওয়ার জন্য কৃষকদের চাষের এলাকা ও খরচের হিসাব দিয়ে জেলা উদ্যান পালন আধিকারিকের কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদনের ভিত্তিতে উদ্যান পালন দফতর প্রয়োজনীয় তদন্ত করার পর চূড়ান্ত তালিকা বানায়। ফুল চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১০-১১ আর্থিক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা উদ্যান পালন দফতর কোলাঘাট ব্লকের খন্যাডিহি, সিদ্ধা-২, পুলশিটা, সাগরবাড়, বৈষ্ণবচক, বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২৯৪ জন ফুল চাষিকে অনুদান দেওয়ার চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে। অনুদানের জন্য প্রায় ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করে ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশন। কোলাঘাটে সেই টাকা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরন আধিকারিক স্বপন কুমার শিট। তা হলে টাকা বিলি হল না কেন?কোলাঘাটের বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালদারের দায়সারা জবাব, ‘‘আমি অফিসে নেই। এই নিয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তবে, প্রশাসনেরই অন্য এক সূত্রে খবর, অনুদানের টাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে বিলি করতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই এ দিন টাকা বিলি করার সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। সারা বাংলা ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ভাবে যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, আগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। ডেকে এনে চাষিদের এই ভাবে খালি হাতে ফেরানোটা উচিত হয়নি।” |
|
|
|
|
|