ভারতের পরে এ বার বিদেশের মাটিতেও ইস্টবেঙ্গলকে এক নম্বরে দেখতে চাইছেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। কাজটা খুব সহজ না হলেও, অসম্ভব নয়। এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে সেলেঙ্গার-বধের পরে ভিয়েতনাম থেকেও তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চাইছেন লাল-হলুদ কোচ।
ভিয়েতনামের সাইগন জুয়ান দলে অবশ্য তেমন কোনও যুযু নেই, যা দেখে চিডি-পেনদের আতঙ্কে ভুগতে হবে। বুধবারের ম্যাচ জিততে হলে, সাইগনের তিন জন ফুটবলারকে নজরে রাখলেই যথেষ্ট। ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার ওমোগু, মিডিও রোজেরিও এবং প্রধান স্টপার বুই টান। মাত্র তিন বছরে ভি-লিগ এবং ভিয়েতনাম কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে সাইগনের এঁরাই তিন স্তম্ভ। ওমোগুকে দলের ফ্রি কিক স্পেশালিস্ট বলা হয়। গত মরসুমে তার করা মোট ১৪টা গোলের মধ্যে ৮ টি ফ্রি কিক থেকে। এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের তাম্পাইন্স রোভার্সের বিরুদ্ধেও জোড়া গোল আছে ওমোগুর।
যদিও ইস্টবেঙ্গলের সামনে সবচেয়ে বড় কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন সাইগনের অভিজ্ঞ মিডিও রোজেরিও। ব্রাজিলিয়ান হলেও, টানা পাঁচ বছর ভিয়েতনামে খেলার পরে সেখানকারই নাগরিকত্ব নিয়েছেন। সাইগনের আগে দ্য নাং এফসি-কেও জোড়া ভি-লিগ ও ভিয়েতনাম কাপের দর্শন করিয়েছেন। গোটা টিম চলে রোজেরিওরই নিয়ন্ত্রণে। আর বুই টান? ছোটখাটো চেহারা হলেও, অসম্ভব শক্তিশালী। ভিয়েতনাম জাতীয় দলেরও প্রধান স্টপার। এএফএফ সুজুকি কাপে দেশের হয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ভিয়েতনাম সরকার বুই টানকে আলাদা ভাবে সংবর্ধনাও দেয়। মর্গ্যানের লাল-হলুদ ব্রিগেড যদি এই তিন জনকে সামলে নিতে পারে, তা হলে আর কোনও সমস্যা নেই।
ইস্টবেঙ্গল অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। ফুটবলারদের মনোবল আরও তুঙ্গে, জাতীয় দলের ফুটবলাররা ফিরে আসায়। বুধবারের ম্যাচে মেহতাব-পেন জুটি শুরু থেকেই খেলতে পারবে। তবে ফরোয়ার্ডে রবিন সিংহ না বরিসিচ, সেটা মঙ্গলবার অনুশীলনের পরে ঠিক করবেন মর্গ্যান। রক্ষণে ওপারার সঙ্গে থাকবেন গুরবিন্দর, সৌমিক ও নওবা। গোলে সম্ভবত গুরপ্রীত। |