|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা |
সিপিআই নেতৃত্বের সঙ্গে কাউন্সিলরদের মতভেদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
তৃণমূল প্রার্থীকে পুরপ্রধান পদে সমর্থন করতে চেয়ে সিপিআই কাউন্সিলরদের চিঠি ঘিরে জট আরও পাকাচ্ছে। দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, খড়্গপুরের ওই তিন কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা মহকুমাশাসককে দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার করে নেন। যদিও সিপিআইয়ের ওই কাউন্সিলররা বলছেন, সোমবার সন্ধে পর্যন্ত এমন কোনও নির্দেশ তাঁরা পাননি। ফলে, চিঠি প্রত্যাহারের প্রশ্ন নেই। এই পরিস্থিতিতে সিপিআইয়ের জেলা নেতৃত্ব সোমবার রাতে খড়্গপুরে এক বৈঠক করবেন বলে স্থির করেছেন। সেখানে ওই তিন দলীয় কাউন্সিলরকে ডাকা হয়েছে। বৈঠকের রিপোর্ট আজ, মঙ্গলবার জেলা স্তরে এসে পৌঁছবে।
সোমবার বিকেলে সিপিআইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “দলীয় কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাতে খড়্গপুরে বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে কী আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হল, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” তবে তিন কাউন্সিলরের চিঠি ঘিরে দল যে বিড়ম্বনায় পড়েছে, তা জেলা সম্পাদকের বক্তব্যেই স্পষ্ট। দলের অন্দরে সন্তোষবাবু বলেছেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় এমনটা না হলেই ভাল হত।”
দলীয় সূত্রে খবর, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে খড়্গপুরের দায়িত্বে রয়েছেন বিপ্লব ভট্ট। সব থেকে সমস্যায় পড়েছন তিনিই। এক দিকে, ‘বিদ্রোহী’ তিন কাউন্সিলর এবং স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হচ্ছে। বোঝাতে হচ্ছে, যে ভাবেই হোক ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে হবে। অন্য দিকে, জেলা নেতৃত্বকে জানাতে হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার সব রকম চেষ্টা চলছে। শনিবার সকালে খড়্গপুরের মহকুমাশাসক আর বিমলাকে চিঠি পাঠিয়ে সিপিআইয়ের তিন জন কাউন্সিলর জানান, তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে। এই চাপানউতোর চলছে। দু’দিন কেটে গেলেও সমাধান সূত্র মিলছে না কেন? বিপ্লববাবুর জবাব, “বিষয়টি নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে। এখনই বেশি কিছু বলব না।” যদিও দলের অন্দরে তাঁর আশা, ওই তিন কাউন্সিলর তাঁদের ‘ভুল’ বুঝতে পারবেন। চিঠি প্রত্যাহার করে নেবেন।
সোমবার সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য কাউন্সিলর তৈমুর আলি খানের বক্তব্যে তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তিনি বলেন, “শুনছি, দলীয় নেতৃত্ব চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এখনও তা পাইনি। রাতের বৈঠকে থাকার সম্ভাবনাও নেই। কারণ, নেতৃত্বকে আগেই জানিয়েছি, সোমবার অন্য কাজে ব্যস্ত থাকব।” তাঁর ব্যাখ্যা, “চিঠি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। কারণ, স্থায়ী পুরপ্রধান চেয়ে মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছি। এতে অন্যায়ের তো কিছু নেই!” |
|
|
|
|
|