মাটি ফেলা নিয়ে সংঘর্ষ চন্দ্রকোনায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দ্রকোনা |
একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটার পরে মাটি ফেলা নিয়ে গণ্ডগোল। তারই জেরে সোমবার সকালে চন্দ্রকোনা থানার ভগবন্তপুর-২ পঞ্চায়েতের খানডাঙা সংলগ্ন গড়গড়িঘাটে সংঘর্ষ বাধল তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে। দু’জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নজরুল হক নামে এক তৃণমূল সমর্থক চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। নজরুল হক দলেরই খানডাঙা বুথ কমিটির সভাপতি আব্বাসুদ্দিন খান-সহ একাধিক তৃণমূল সমর্থকের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। ঘটনার কথা মেনে নিয়ে তৃণমূলের চন্দ্রকোনা ২ ব্লক কমিটির সভাপতি অমিতাভ কুশারী বলেন, “খোঁজ নিচ্ছি।” স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে একশো দিনের কাজে পুকুর সংস্কার হচ্ছে। পুকুর থেকে মাটি কাটার পর সেই মাটি স্থানীয় নজরুল হকের জমিতে ফেলা হচ্ছিল। নজরুল তাতে বাধা দিলে রবিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সোমবারও নজরুলের জমিতে মাটি ফেলা হলে শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ। নজরুল বলেন, “আমি ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। মাটি ফেলা হলে চাষ করা যাবে না। তাই মাটি পুকুরের পাড়ে বা অন্যত্র ফেলতে অনুরোধ করি। কিন্তু তা সত্ত্বেও জোর করে মাটি ফেলছিল ওরা। এই নিয়ে গণ্ডগোল।” যদিও অভিযুক্ত আব্বাসুদ্দিন খান কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ দিকে ওই প্রকল্পে মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একশো দিনের প্রকল্পে শ্রমিক দিয়েই মাটি কাটতে হয়। এই প্রসঙ্গে ওই ব্লকের উন্নয়ন আধিকারিক সৈকত হাজরা বলেন, “আমি এই অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ সত্য হলে সরকারি ভাবে যাঁরা ওই কাজে দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
সুষ্ঠু ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার দাবিতে সোমবার কোতয়ালি থানায় স্মারকলিপি দিল এসএফআই। ছিলেন জোনাল সম্পাদক অসিত লৌহ, জোনাল সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী। |