জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠল একটি ভুঁইফোড় আর্থিক সংস্থার (চিটফান্ড) বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের ভূমি কর্মাধ্যক্ষের নামও। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের রূপনারায়নণপুর গ্রামের। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “বিডিওকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি নিমার্ণের প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে ওই ভঁুইফোঁড় আর্থিক সংস্থাটি অফিস তৈরির জন্য ১২ শতক জমি কেনে। তার মধ্যে ডোবা ও চা,যোগ্য জমিও ছিল। প্রায় ৪ শতক জায়গা জুড়ে থাকা ডোবাটি ভরাট করে ও কৃষিজমিতে মাটি ফেলে শুরু হয় বাড়ি তৈরির কাজ। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় গ্রামের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, ডোবা ভরাট করে নির্মাণকাজ হওয়ায় নিকাশি বির্যস্ত হবে। ফলে বর্ষার সময় ভাসবে গোটা গ্রাম। বিষয়টি তাঁরা বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে জানান। কিন্তু তাতে কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামাবাসীর। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, তৃণমূল পরিচালিত মন্দিরবাজার পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষের মদতে নির্মাণ কাজ চলায় প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। |
মন্দিরবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা দিলীপ জাটুয়া বলেন, “ওই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে আমি নিজেই প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলি। কিন্তু তারপরেও কেন কাজ বন্ধ হয়নি বুঝতে পারছি না। যদি দলের কোনও নেতার মদতে এই ঘটনা ঘটে তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নিক।’’
এ দিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মন্দিরবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সেই ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পুলক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। যদি বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকে, আমি তার বিরুদ্ধে।’’ অভিযুক্ত ভঁুইফোড় আর্থিক সংস্থার কর্তা গৌতম নস্কর বলেন, “আমরা ডোবা ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করিনি। বিষয়টি সবিস্তারে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” মন্দিরবাজার ব্লকের ভূমি-ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক শুভ্র দত্ত মজুমদার বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত সংস্থাকে বিডিওর দফতরে ডাকা হয়। সেখানে বলে দেওয়া হয়েছে, ভূমি সংস্কার আইন না মেনে বেআইনি নির্মাণ করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |