রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে কিছুটা গতি এল আরামবাগ মহকুমায়। গত বৃহস্পতিবার মহকুমার ছ’টি ব্লকের মধ্যে গোঘাট-২, পুড়শুড়া, আরামবাগ এবং খানাকুল-১ ব্লক এলাকার মোট ২৩৯ জন ভূমিহীন জমির পাট্টা পেলেন। আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠানে ১৩০ জন জমি-প্রাপকের হাতে পাট্টা তুলে দেওয়া হয়।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পটি বছর দেড়েক আগে চালু হলেও যথাযথ জমির অভাবে তা কার্যকর হয়নি। এই প্রকল্পে পরিবার-পিছু জমির বরাদ্দ সর্বোচ্চ পাঁচ শতক। কিন্তু কোথাও জমি পেলে তা উপভোক্তাদের পছন্দ হচ্ছিল না, কোথাও আবার উপভোক্তাদের পছন্দমতো জমির দাম নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। তা সত্ত্বেও, আরামবাগ মহকুমার নৈসরাই এলাকার এবং পুড়শুড়ার জঙ্গলপাড়ায় কয়েক জনকে পাট্টা দেওয়া হয়।
এ দিন পাট্টা বিলি নিয়ে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুনীত সরকার বলেন, “এই প্রকল্পে গোঘাট-১ ও খানাকুল-২ নম্বর ব্লক এলাকায় পাট্টা দেওয়ার মতো জমি এখনও মেলেনি। খোঁজ চলছে। সেই কাজ সম্পন্ন হলে ওই দু’টি ব্লকের উপভোক্তাদেরও পাট্টা দেওয়া হবে।” একই দিনে বলাগড়েও ১৯০ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, গত শুক্রবার হাওড়ার সাঁকরাইলে ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ’ প্রকল্পে ৫২টি পরিবারের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হয়েছে। সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সব মানুষের হাতে পাট্টা দেওয়া হয়। সাঁকরাইলে এই প্রথম প্রকল্পটি চালু করা হল বলে পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে। সারেঙ্গা, আড়গোড়ি, আন্দুল এবং পাঁচপাড়া এই চারটি মৌজার খাস জমি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মাধ্যমে ৫২ জনের নামে পাট্টা রেকর্ড করিয়ে দেওয়া হয়।
একেক জন জমি পেয়েছেন আড়াই কাঠা করে। অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন দুই বিধায়ক শীতল সর্দার এবং ব্রজমোহন মজুমদার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বীণা চক্রবর্তী, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ সিদ্দিক-সহ ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। |