নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
রাতে বাড়ি ফেরার পথে এক হোটেল-ব্যবসায়ীকে মাথায় ভারি জিনিসের ঘা মেরে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গুরের মল্লিকপুরে ১২ নম্বর রুটে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম দীপেন্দু ঘোষ (৩৫)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। রবিবার রাত ২টো নাগাদ রাস্তার ধারে দাঁড়ানো ১২ নম্বর রুটের একটি বাসের তলা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান দীপেন্দু।
তাঁর ভাই অমলেন্দু থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষ বলেন, “পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে ওই ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সিঙ্গুর স্টেশনের কাছেই স্কুলমোড়ে একটি হোটেল চালাতেন দীপেন্দুবাবু। রাত একটা-দেড়টা নাগাদ হোটেল বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। পাশের একটি মিষ্টির দোকানের কর্মীও একই সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। তবে রবিবার তিনি সঙ্গে ছিলেন না। সাইকেলে চেপে একাই বাড়ির দিকে রওনা দেন দীপেন্দু। কিছু ক্ষণ পরে মিষ্টির দোকানের ওই কর্মী ফেরার পথে দেখতে পান, বাড়ির কিছুটা আগে একটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসের তলায় দীপেন্দু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে। মুখের উপরে তাঁর চাদরটি চাপা দেওয়া। পাশেই পড়ে ছিল সাইকেলটি। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দীপেন্দুর বাড়িতে খবর দেন। ফোন করা হয় থানায়। পুলিশ এসে ওই যুবককে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দিনের আলো ফুটতেই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীরা হাসপাতালে ভিড় করেন। পুলিশ-কুকুর আনার দাবি তুলে মৃতদেহ উদ্ধারে বাধা দেওয়া হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত জনতাকে বুঝিয়ে মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, দীপেন্দুবাবুর মাথার পিছনে ভারি কোনও জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তাঁর গলাতেও দাগ রয়েছে। খুনের পিছনে ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ’ রয়েছে বলে পুলিশ মনে করলেও নিহতের ভাই অমলেন্দুর অবশ্য দাবি, “দাদার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়েও কোনও সমস্যা ছিল না। যারা দাদাকে খুন করেছে, পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।” |