রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • উদয়নারায়ণপুর |
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ভেঙে পড়েছিল সেতু। এখনও সেই অবস্থাতেই আছে।
১৯৭২ সালে সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে উদয়নারায়ণপুরের হরিশপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে মান্দারিয়া খালের উপর হরিশপুর-পেঁড়ো সংযোগকারী ওই সেতুটি তৈরি হয়। লম্বায় ছিল ২২৫ ফুট, চওড়ায় ১০ ফুট। অভিযোগ, তৈরির পর থেকেই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।
হরিশপুর, বাণীচক, কেষ্টচক, পেঁড়োগড়, বসন্তপুর, কানপুর, নজরখাঁ, সাহাচক, মল্লিকচক, কল্যাণচক প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করতেন ওই সেতু দিয়ে। যাতায়াত করতেন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পঞ্চায়েত, ব্যাঙ্ক, লাইব্রেরির কর্মী ও এলাকার স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন তাঁরা। সেতুর আশেপাশের দোকানদারদের মাথায় হাত। কেনাবেচা প্রায় নেই বললেই চলে। সেতু সারানো না হওয়ায় ঘোর সমস্যায় প্রায় তিনশো ব্যবসায়ী।
|
নিজের পায়ে দাঁড়াবে কবে? —নিজস্ব চিত্র। |
ভাঙা সেতুর কাছেই ওষুধের দোকান লক্ষ্মীকান্ত চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, “সেতু ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যবসাও বন্ধের মুখে।” হরিশপুর গ্রামের সৌগত রায় বলেন, “এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলত না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করা যেত। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর আমাদের সমস্যার শেষ নেই। এখন ঘুরপথে বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হচ্ছে।”
হরিশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল খামরুই বলেন, “সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর বিডিও, বিধায়ক ও সেচ দফতরে জানানো হয়েছিল। ভাঙা সেতুর পাশ দিয়ে কাঠের সেতু তৈরি করবার জন্য ২০১১ সালে টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।”
উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, “সেতু নতুন করে তৈরির জন্য ছ’মাস আগে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে।” সেচ দফতরের আধিকারিক স্বপন দত্ত বলেন, “ছ’মাস আগে মাটি পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু তারপর আর কিছু হয়নি।” উদয়নারায়ণপুরের বিডিও সুরজিত্ ঘোষ বলেন, “ভাঙা সেতু পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় নকশা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি।”
কবে মিলবে অনুমোদন, কবে সারানো হবে সেতু, তা নিয়ে নিশ্চিত নন কেউই। দুর্ভোগ ঘুচবে কবে, এখন সে দিনের আশায় বাসিন্দারা। |