|
|
|
|
ঝাড়খণ্ড নিয়ে ক্ষুব্ধ যশবন্ত পদত্যাগের হুমকি দিলেন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও রাঁচি |
তাঁকে উপেক্ষা করে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি নিয়োগ করায় ক্ষুব্ধ যশবন্ত সিন্হা। এতটাই যে তিনি আজ শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে লোকসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকিও দিয়ে বসলেন।
কাল দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ ঝাড়খণ্ডে রবীন্দ্র রাইকে বিজেপির সভাপতি নিয়োগ করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ যশবন্ত আজ সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে লালকৃষ্ণ আডবাণীর কক্ষে এসে ক্ষোভ উগরে দেন। লোকসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার হুমকিও দেন। বিজেপি সূত্রের অবশ্য দাবি, পরে রাজনাথ-সহ দলের নেতারা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। আপাতত যশবন্ত ইস্তফার মতো পদক্ষেপ করবেন না বলেই দাবি দলের। যশবন্ত অবশ্য প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও বিবৃতি দেননি।
কিন্তু যশবন্তের ক্ষোভের কারণ কী? বিজেপি সূত্রের মতে, অবিভক্ত বিহারের সভাপতি ছিলেন যশবন্ত। কিন্তু ঝাড়খণ্ড গঠনের পর তিনি সভাপতি হননি। এ বার চেয়েছিলেন। না হলে রাজ্যের নেতা রঘুবর দাসকেও সে পদে চেয়েছিলেন তিনি। কোনওটাই হয়নি। রাজনাথ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার পছন্দের নেতা রবীন্দ্র রাইকেই সভাপতি করেন। যশবন্তের ক্ষোভ, রবীন্দ্র এক সময় বিজেপি ছেড়ে বাবুলাল মরান্ডির সঙ্গে গিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ফের বিজেপিতে যোগ দেন। এমন এক ব্যক্তিকে সভাপতি করার কী অর্থ? ঝাড়খণ্ডের বিষয়ে বরাবর তাঁকে উপেক্ষা করা হয়। কেন তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না? বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, রবীন্দ্রের পিছনে অর্জুনের প্রভাব অস্বীকার করা দলের পক্ষে সম্ভব নয়। রাজনাথ মুন্ডাকে সাধারণ সম্পাদক করার কথা ভাবছেন। সভাপতি করার আগে দলের নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানকে দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়। সেখানে যশবন্ত গ্রহণযোগ্য নেতা হিসাবে উঠে আসেননি। তাই তাঁকে সভাপতি করার কথা বিবেচনা করা হয়নি। ঝাড়খণ্ডে বাবুলালের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। আদিবাসী এলাকাতেও তাঁর প্রভাব আছে। এ বছরের যে কোনও সময় রাজ্যে ভোট হতে পারে। তখন বাবুলালের দল ভাঙার ক্ষেত্রে রবীন্দ্র রাই তুরুপের তাস হতে পারেন। |
|
|
|
|
|