|
|
|
|
পরিচয় অস্বীকার বিট্টির, চেনাল রাজস্থান পুলিশ |
সংবাদসংস্থা • কান্নুর |
পুলিশের জেরায় নিজেকে বিট্টি বলে স্বীকার করে নিলেও, আজ ফের বেঁকে বসে ছিল সে। বলতে শুরু করেছিল, সে অন্ধ্রের বাসিন্দা রাঘব রাজন, মোটেও বিট্টি নয়। কিন্তু তার এই নতুন প্রচেষ্টায়
জল ঢেলে দিলেন রাজস্থানের এক পুলিশ কর্মী। সাত বছর আগে এই লোকটিই গ্রেফতার করেছিলেন বিট্টিকে। জানালেন, তিনি নিশ্চিত, রাঘবই আসলে বীতিহোত্র ওরফে বিট্টি মহান্তি।
গত শুক্রবার রাতে কেরলের রাঘব রাজন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দাবি, এই লোকটিই সাত বছর আগে রাজস্থানের জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার পর পলাতক আসামি বিট্টি। আলোয়ারে এক জার্মান মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে কারাদণ্ড হয়েছিল তার। পালিয়েই নিজের পরিচয় বদলে ফেলেছিল সে। হয়ে যায় অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা রাঘব রাজন। এর পর ভুয়ো শংসাপত্রও বানিয়ে, তা দেখিয়ে সে সরকারি ব্যাঙ্কে চাকরিও
|
বিট্টি মহান্তি |
পেয়ে যায় বলে অভিযোগ। তার সহকর্মীরা এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ দারস্থ হতেই, গ্রেফতার করা হয় রাঘব রাজনকে।
পুলিশের দাবি, প্রথমে নিজেকে রাঘব রাজন বলে দাবি করলেও পরে জেরায় সে নিজেকে বিট্টি মহান্তি বলে স্বীকার করে নিয়েছিল। কিন্তু আজ ফের বেঁকে বসে সে। বিট্টির বিষয়ে নিশ্চিত হতে রাজস্থান পুলিশের একটি দলের কান্নুরে আসার কথাই ছিল। তারা এসে পড়তেই ঘটনায় যবনিকা পতন।
সন্দেহভাজনের প্রকৃত পরিচয় জানতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছে কেরল পুলিশ। কান্নুরের পুলিশ সুপার রাহুল আর নায়ার জানিয়েছেন, ২০ সদস্যের ওই দলকে চারটি ভাগে ভাগ করা হবে। এর মধ্যে তিনটি দলকে অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, এবং ওড়িশায় পাঠানো হবে। কারণ ওড়িশার বাসিন্দা বিট্টি রাজস্থানের জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার পরে বেশ কিছু দিন অন্ধ্রপ্রদেশে লুকিয়ে ছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। কাল তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। কেরল পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আজ বিট্টিকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিট্টিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্যই কেরলে এসেছে রাজস্থান পুলিশ। কিন্তু তাদের কাছে সাত বছর আগেকার বিট্টির পুরনো ফটো ছাড়া আর কোনও তথ্যই ছিল না বলে খবর। তাই বিট্টিকে চিনতে এই দল বিশেষ কিছু সাহায্য করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল কেরল পুলিশ। সেই কারণেই বিট্টিকে জেরা করার জন্য রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও জানা গিয়েছিল। সেখানে তার ডিএনএ পরীক্ষা হতে পারে বলেও খবর
পাওয়া গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে, বিট্টির বাবা বি বি মহান্তি টিভিতে ধৃত ওই যুবকের ছবি দেখে তাকে বিট্টি বলে স্বীকার করতে চাননি। এ ছাড়াও তদন্তে পলাতক বিট্টির সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে যে তথ্য উঠে আসছে, তা-ও অস্বীকার করেছেন তিনি। |
|
|
|
|
|