নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
সেচ দপ্তরে ‘অবৈধ’ নিয়োগের প্রতিবাদে সামিল হল কংগ্রেস। সোমবার রামপুরহাট বিভাগীয় রাজস্ব আদায় অফিসের সামনে মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন জেলা কংগ্রেসের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট ১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি উত্তীয় মুখোপাধ্যায়, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মিলটন রসিদ, রামপুরহাট শহর ফুটপাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ মণি, জেলা কংগ্রেস নেতা সত্যব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সেচ দফতরের ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানালের রামপুরহাট বিভাগীয় অফিসের অস্থায়ী কর্মীরাও এ দিনের বিক্ষোভে সামিল হন। মঞ্চে সকাল থেকে রামপুরহাটের ৯ জন অস্থায়ী কর্মীরা ছাড়াও সেচ দফতরের নলহাটি বিভাগীয় অফিসের ১৬ জন অস্থায়ী কর্মীও উপস্থিত ছিলেন। ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানেলে সম্প্রতি ৩৩ জনকে চতুর্থ শ্রেণি পদে নিয়োগ করা হয়। কংগ্রেসের দাবি, অবিলম্বে ওই নিয়োগ বাতিল করতে হবে। |
রামপুরহাট সেচ দফতরের সামনে অবস্থান। —নিজস্ব চিত্র। |
যে সমস্ত অস্থায়ী কর্মী দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে অথবা কোনও ঠিকাদারের অধীনে মাসিক বেতন ভিত্তিতে কাজ করেছেন, অথচ বর্তমানে তারাই ছাঁটাই হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের পুনর্বহাল করে স্থায়ী করণের ব্যবস্থা করার দাবি তোলে কংগ্রেস। ছাঁটাই কর্মী আশিস পাল, বলরাম রাউত-রা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা রামপুরহাটের বিভাগীয় অফিসে কাজ করেছি। বন্যার সময় নদীর বাঁধ মেরামতের কাজ আমরা করলেও এখন বসে আছি। একই পদে সরকার লোক নিয়োগ করল, অথচ আমাদের কথা ভেবেই দেখল না।” সেচ দফতরের নলহাটি মহকুমার অস্থায়ী কর্মী হেমন্ত মাল-দের অভিযোগ, “বছরে ৮ মাস আমাদের বসিয়ে রেখে ৪ মাস কাজ দেওয়া হয়। অথচ লোক নিয়োগের সময় আমাদের নাম পাঠানো হলেও ওই পদে ৩৩ জন নতুন লোককে কাজে নেওয়া হল। তাই আমরা কংগ্রেসের এই আন্দোলনকে সমর্থন করছি।” |