ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে তৃণমূলের এক প্রাথমিক শিক্ষক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শামুকতলার টটপাড়া-কামারপাড়া গ্রামে শনিবার দুপুরের ঘটনা। ধৃত শিক্ষক নেতা জগদীশ দাস টটপাড়া-২ তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল কমিটির সদস্য। তিনি আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের কামারপাড়া বি এফ পি স্কুলের শিক্ষক। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া জানান, মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে ধরা হয়েছে। মহিলার শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ওই বধূ লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, কামারপাড়া বি এফ পি স্কুলের পাশে তার বাড়ি। এক মেয়ে ওই স্কুলের ছাত্রী। স্কুলে আসা যাওয়ার সূত্রে জগদীশবাবুর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই সূত্রে তার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করেন ওই শিক্ষক। এদিন দুপুরে ওই মহিলা বাড়িতে একা ছিলেন। সে সময় জগদীশবাবু তাঁর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।শিক্ষক নেতা জগদীশবাবু বলেন, “মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।”
মহিলা গ্রামেই আলাদা বাড়িতে তিন মেয়েকে নিয়ে থাকেন। দিনমজুরি করে তাঁর সংসার চলে। স্বামীর বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে অত্যাচারের অভিযোগ জানালে পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালতে সেই মামলা চলছে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার ২ ব্লক সভাপতি কাজল দত্ত জানিয়েছেন, “এ ধরনের ঘটনায় দল কোনও ভাবে সমর্থন করে না। ওই শিক্ষক দোষী হলে অবশ্যই তার শাস্তি পাওয়া দরকার।”
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার পেছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা টটপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুবল দাসের অভিযোগ, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে সিপিএম চক্রান্ত করে ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করিয়েছেন। সিপিএমের আলিপুরদুয়ার-২ জোনাল কমিটির সদস্য অসীম সরকার জানান, “মহিলাকে আমরা চিনি না। আমাদের দলের সমর্থকও নয়। তাই চক্রান্তের অভিযোগ সঠিক নয়। ওই শিক্ষক নেতাকে আড়াল করতে চাইছে তৃণমূল।” |