আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের শুরুর দিনই বাংলার দুই দল জিতল। সঞ্জয় সেনের মহমেডান হারাল শিলংয়ের ওয়াংইডোকে। জয় পেলেন হোসে ব্যারেটোরাও। তাঁদের কাছে হারল রঘু নন্দীর টেকনো এরিয়ান। হেরে গেল জর্জ টেলিগ্রাফও।
ইন্দৌরে মাঠ নিয়ে সমস্যা ছিলই। মহমেডান খেলল নেহরু স্টেডিয়ামে। চার্লস, অ্যালফ্রেডরা ২-১-এ ওয়াংইডোকে হারালেন। একই সঙ্গে তাঁদের হারাতে হল মাঠের প্রতিকূলতাকেও। অসমান বাউন্স, বল ঠিকমতো গড়াচ্ছে না। সবথেকে বড় কথা, রিজার্ভ বেঞ্চে ফুটবলারদের সঙ্গে বসে পড়েন দর্শকরাও। মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন ফোনে বললেন, “এ রকম অবস্থায় কখনও পড়িনি।”
হোসে ব্যারেটোদের অবস্থা আরও করুণ। তারা ১-০ গোলে হারায় রঘু নন্দীর টেকনো এরিয়ানকে। ভবানীপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের যে মাঠে খেলেছে তা ফিফা নির্দিষ্ট আয়তনের চেয়ে অনেক ছোট। এই নিয়ে ফেডারেশনকে জানানো হলেও তারা গুরুত্বই দেয়নি।
মাঠ সমস্যা ছাড়াও শনিবারে দুটি ম্যাচই ছিল ঘটনাবহুল। মহমেডান ম্যাচে চার্লসকে বিশ্রী ভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ওয়াংইডোর করিম। প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন চার্লস। এর পরই অবশ্য আক্রমণে গিয়ে সমতা ফেরায় পাহাড়ের দল ওয়াংইডো। বিরতির পর মহমেডান চাপে থাকলেও অ্যালফ্রেডের গোলে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে সঞ্জয় সেনের দল।
ভবানীপুর জেতে গুরপ্রীত সিংহের গোলে। ভবানীপুরের অরুণ পাণ্ডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে এরিয়ানের গোলকিপার রাজা গঙ্গোপাধ্যায় কোমরে গুরুতর চোট পান। তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
এ দিকে আইএফএ শিল্ডের ম্যাচে শিলিগুড়িতে ওএনজিসি ২-১ হারাল পৈলানকে। ফলে প্রয়াগ-ওএনজিসি ম্যাচের যে জিতবে সে-ই সেমিফাইনালে চলে যাবে। শিল্ডে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মুখোমুখি হলে তা যুবভারতীতে রাতের আলোয় করতে চায় আইএফএ। এ ব্যাপারে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন কথা বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রর সঙ্গে।
|