স্থানীয় ক্রিকেটে ভিন রাজ্যের প্লেয়ারদের জন্য দরজা অনেকটাই বন্ধ করে দিচ্ছে সিএবি। দীর্ঘ দিন ধরেই ময়দানের বিভিন্ন ক্লাব ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার আমদানি করত। যার সবচেয়ে বড় কারণ ক্লাবের অবনমন বাঁচানো। কিন্তু আগামী মরসুম থেকে এ ব্যাপারে প্রবল কড়াকড়ি চালু করা হচ্ছে।
শনিবার সিএবি-র সভায় ঠিক হয় প্রথম ডিভিশনের ক্লাবগুলো তিন জন করে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার সই করাতে পারবে। খেলানো যাবে দু’জনকে। বলা হচ্ছে, ক্লাবগুলো বেশি বাইরের ক্রিকেটার খেলানোয় বাঙালি ক্রিকেটার উঠছে কম। যাতে ক্ষতি হচ্ছে বাংলার। তা ছাড়া ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের কেউ কেউ শেষে বাংলা ছাড়তে দু’বার ভাবছে না। সিএবি কর্তাদের অভিযোগ, লিগ থেকে ড্র উঠে যাওয়ায় অবনমন বাঁচাতে যথেচ্ছ বাইরের ক্রিকেটার হাজির করছে বিভিন্ন ক্লাব। আরও বলা হচ্ছে, মনোহরপুকুর মিলন সমিতি এ বার অবনমন বাঁচিয়েছে স্রেফ ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার খেলিয়ে। সাত-আট জন করে বাইরের ক্রিকেটার খেলানোর অভিযোগ উঠছে জর্জ টেলিগ্রাফ, ভূকৈলাসের মতো ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধেও। এই প্রসঙ্গে সিএবি কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বলছিলেন, “বাংলা ক্রিকেটের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”
তবে দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু হবে কি না তা নিয়ে দু’টো মত কর্তাদের মধ্যে। এক) দু’জন ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার সই করানো হোক। খেলানো হোক এক জনকে। দুই) এক জনকেও খেলানো উচিত নয়। কারণ, এটা জুনিয়র পর্যায়ে ক্রিকেটার তৈরির মঞ্চ। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ওয়ার্কিং কমিটি। পাশাপাশি সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৪ অম্বর রায় টুর্নামেন্টে ক্রিকেটাররা বয়স ভাঁড়িয়ে ধরা পড়ায়, ভাবা হচ্ছে অম্বর রায়ের সঙ্গে জুনিয়র টুর্নামেন্টও বন্ধ করে দেওয়া যায় কি না। সেক্ষেত্রে প্রথম ডিভিশনের ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে টিমে দু’জন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার খেলানো বাধ্যতামূলক করা হবে। দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবে দু’জন করে অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১৬ ক্রিকেটার খেলাতে হবে। সিএবি যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “পুরো ব্যাপারটাই পরীক্ষামূলক।” |