দুই টেস্টে এসেছে সাকুল্যে দুটো উইকেট। গড় শুনে কোনও বোলারই তাঁকে হিংসে করবেন না। ৮১। এই বোলিং ফিগার নিয়েও কেউ সিরিজে ‘মজা’ পেতে পারেন, শুনলে ভিরমি খাওয়াটাই স্বাভাবিক।
চেন্নাই এবং হায়দরাবাদ টেস্টে ভারতের ব্যাটসম্যানদের হাতে বেদম মার খাওয়ার শোকেই কি না জানা নেই, তবে অস্ট্রেলিয়ার পেসার পিটার সিডল সত্যিই বলছেন চলতি ভারত সফর তিনি উপভোগ করছেন।
১৪ মার্চ যেখানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তিন নম্বর টেস্ট শুরু হতে চলেছে, ২০০৮ সালে সেই মোহালিতেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় সিডলের। বৃহস্পতিবার এই মাঠেই সিরিজের ফয়সালা চাইছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। পাঁচ বছর আগের অভিষেকের মূহূর্ত মনে পড়াতেই হয়তো সিডল বলেন, “মাঠে নামার সময় দিনটা কী রকম যাবে, অত কিছু মাথায় থাকে না। আমার কাছে চ্যালেঞ্জটাই আসল। এক কৌশল দু’বার কাজে না-ও আসতে পারে। এটাই চ্যালেঞ্জ। এটাই ভারত সফর।” |
ঘরে-বাইরে অস্ট্রেলিয়া দলকে ছিঁড়ে খাচ্ছে সমালোচনা। সিডলদের রক্তচাপ যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান দিলীপ বেঙ্গসরকর যেমন এ দিন বলেছেন, ভারত সফরে আসা অস্ট্রেলীয় দলের মধ্যে সবথেকে দুর্বল মাইকেল ক্লার্কের এই দলটাই। গ্লেন ম্যাকগ্রা, জেসন গিলেসপিদের উত্তরসূরি সিডল অবশ্য বলছেন, “ব্যাটসম্যানরা রান পেলে আপনাআপনিই ওদের আত্মিবশ্বাস বেড়ে যায়। আমাদের প্রতি ওভারে লুজ বল দেওয়াটা বন্ধ করতে হবে। আমরা এখন যে অবস্থায় তাতে এখান থেকে সিরিজ ড্র করতে পারলে তার থেকে বড় পুরস্কার আর হয় না।”
এ দিকে, আর এক অস্ট্রেলীয় পেসার জেমস প্যাটিনসন এখন থেকেই অ্যাসেজ সিরিজে ‘ইংল্যান্ডকে দেখে নেব’ গোছের হুঙ্কার দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন। অ্যাসেজেও বিপদে পড়বে এই অস্ট্রেলিয়া— ইংরেজ প্রচারমাধ্যমে এমন জল্পনা ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই প্যাটিনসন পাল্টা জবাব দিয়েছেন, উপমহাদেশের সঙ্গে সব পরিবেশ এক করাটা ভুল হবে। ইংল্যান্ডের আবহাওয়া পেসারদের সহায়ক। তাই অ্যাসেজে আমরা এরকমই ফল করব ভাবাটা ভুল। ইংল্যান্ডও ভারত সফরে সাফল্য পেয়েছিল গ্রেম সোয়ান এবং মন্টি পানেসরের মতো দুরন্ত দুই স্পিনার ছিল বলেই।
প্যাটিনসনের এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে আদতে কি নিজের দলের স্পিনারদেরই বিঁধলেন প্যাটিনসন? |