|
|
|
|
উঠছে প্রশ্ন |
ভন্ডারার বোনেরা ধর্ষিত হয়নি, বলছে ময়নাতদন্ত |
সংবাদসংস্থা • ভন্ডারা |
ভন্ডারায় ওই তিন নাবালিকা বোনের মৃত্যু হয়েছিল জলে ডুবে। আজ প্রকাশ হয়েছে তাদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। আর সেই রিপোর্ট-ই বলছে এ কথা। তিন জনের কেউই ধর্ষিত হয়নি বলেও জানিয়েছে ওই রিপোর্ট। তবে স্থানীয় থানা সূত্রের খবর, জলে ডুবে মৃত্যুর কথা বলা বলা হলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, এটি খুন, দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের বক্তব্য, তিন বোনের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল মেলেনি। ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও। জামাকাপড়েও ধস্তাধস্তির চিহ্ন নেই। তাই তিন বোনের কাউকেই ধর্ষণ করা হয়নি, আজ সে কথা জানান ওই চিকিৎসক। তবে ভন্ডারার অন্য এক সূত্র বলছে, তিন নাবালিকার ময়নাতদন্তে গাফিলতি রয়েছে। তাদের হাতের নখ, চুল ইত্যাদির নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। অথচ যে কোনও ক্ষেত্রে ধর্ষণ হয়েছে কি না পরীক্ষা করতে এই নমুনাগুলি খুবই গুরুত্ব সহকারে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এ ছাড়াও, ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিও-টাও সম্পূর্ণ নয়। এই সব অভিযোগের উত্তরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের দাবি, পুলিশ তাদের তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। সে জন্যেই সব কিছু করা সম্ভব হয়নি। তবে চিকিৎসকদের এই কথা মানতে চায়নি পুলিশ।
১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে নিরুদ্দেশ ছিল এগারো, নয় এবং ছয় বছর বয়সী তিন বোন। দিন চারেক পর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি কুয়ো থেকে। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ করা হয় থানায়। তবে এই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|