|
|
|
|
হাফলঙে অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করল ডিমা জঙ্গিরা |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বহু প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক আড়ম্বর, বহুল অস্ত্রসম্ভার জমা দেওয়ার পরেও ফাঁক-ফোঁকর ঢাকা গেল না। ডিমা হালমা ডাওগের বহুচর্চিত মূলস্রোতে ফেরার উৎসবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো থাকলেনই না, এমন কী যে দুই গোষ্ঠী এক হয়ে শান্তি চুক্তি সই করেছিল, তাদেরও এক পক্ষের নেতা-সদস্যদের দেখা মিলল না। কার্যত আজ হাফলং-এ ডিএইচডির ‘ঘরে ফেরার উদ্যাপন’ নুনিসা গোষ্ঠীর একতরফা অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়াল। গত বছর শান্তি চুক্তির পরে, ‘ঐক্যবদ্ধ ডিএইচডি’ যখন হাফলং-মাহুরে জনসভা করেছিল তখনও সেই সভাগুলিতে জুয়েল গোষ্ঠী ও নুনিসা গোষ্ঠীর মধ্যে কোনও ঐক্য চোখে পড়েনি। বরং জনসভার পরেই জুয়েল গোষ্ঠী নুনিসাদের শিবির লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আজও চিত্রটা একই থাকল। রাজ্য সরকারের তরফে শিল্প ও বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রদ্যোৎ বরদলৈ যতই আজকের দিনটিকে ডিমা হাসাও জেলার স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থাপনের ক্ষেত্রে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিন, দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্য রেষারেষি, অ-ডিমাসা সংগঠনগুলির অনুষ্ঠান বয়কট এবং দৃশ্যত অনেক কম মারণাস্ত্র জমা পড়ার ঘটনায় ভবিষ্যতের শান্তি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে তা নিয়ে ধন্দ রয়েই গেল। |
|
ডিমা জঙ্গিদের জমা করা অস্ত্রের সারি। শনিবার অসমের হাফলঙে। ছবি: সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় |
১৮ বছরের সংগ্রাম শেষে আজ আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের পরে, ডিএইচডি চেয়ারম্যান দিলীপ নুনিসা বলেন, “নিজে হাতে যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলাম, তা শেষ করে দিতে দুঃখ হচ্ছে ঠিকই, তবে, মানুষের মতামত মেনে, গণতন্ত্রের পথে, শান্তির পথে মানুষের উন্নতির জন্য লড়াই চালাতে আমরা তৈরি। আশা করি, সরকারও শান্তিচুক্তির শর্তগুলি মানবে।” তিনি জানান, নবগঠিত, ‘হিলালি প্রোগ্রেসিভ গ্রুপ’ ডিমারাজির দাবি নিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে। আজ নুনিসা গোষ্ঠীর ৩৭ জন মহিলা জঙ্গি-সহ মোট ৬৯১ জন সশস্ত্র সদস্য ও ১৩১৮ জন রাজনৈতিক সদস্য অনুষ্ঠানে ছিলেন। অবশ্য মারণাস্ত্র জমা পড়েছে মাত্র ১৪৪টি। এরমধ্যে একে সিরিজের রাইফেল ৬৭, জি সিরিজ রাইফেল ২০টি। প্রায় ৫ হাজার রাউন্ড গুলিও জমা দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে অনুষ্ঠানে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উপ সচিব অজয় কানেজিয়া। রাজ্যের তরফে প্রদ্যোৎ বরদলৈ ছাড়াও ছিলেন পরিবহনমন্ত্রী চন্দন ব্রহ্ম, সাংসদ এস কে বসুমাতারি ও বীরেন সিংহ ইংতি। পুলিশের তরফে আসেন এডিজি (এসবি) খগেন শর্মা। |
|
|
|
|
|