|
|
|
|
জর্ডনে প্রয়াত বীরেন জে শাহ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সস্ত্রীক জর্ডনে ছুটি কাটাতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল বীরেন জে শাহের।
১৯২৬ সালে কলকাতায় জন্ম শাহের। শিক্ষাপর্ব মুম্বইয়ে। ৮৬ বছরের জীবনে শিল্পপতি থেকে সাংসদবিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। বিজেপির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৬৭ সালে গুজরাতের জুনাগড় থেকে প্রথম লোকসভায় নির্বাচিত হন। পরে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ ও ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬- এই দু’দফায় রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন তিনি।
বিজেপির সদস্য হলেও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল শাহের। ভি পি সিংহের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে জ্যোতিবাবুর বৈঠকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন শাহই। শাহের জামাই হলদিয়ায় বিনিয়োগকারী শিল্পপতি পূর্ণেন্দু চট্রোপাধ্যায়।
এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পশ্চিমবঙ্গে কাকে রাজ্যপাল করা হবে তা নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। শেষ পর্যন্ত শাহের নাম স্থির করা হয়। তাতে কোনও আপত্তি করেননি জ্যোতিবাবু। ইস্পাত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহ। অনেকের মতে, শাহের মতো শিল্পপতি রাজ্যপাল হলে রাজ্যের সঙ্গে শিল্পপতিদের সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে মনে করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে শাহকে নিয়ে কিছুটা আপত্তি ছিল রাজ্যে তৎকালীন প্রধান বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু শাহ সম্পর্কে বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে সব তথ্য জানানোর পরে মমতা আর আপত্তি করেননি। ফলে, পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনে রাজ্য রাজনীতির দু’পক্ষের শুভেচ্ছা নিয়েই এসেছিলেন শাহ।
১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন শাহ। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। সেই সময়ে রাজ্যের তৎকালীন শাসক ও বিরোধী দলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কিছু এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সে সব এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। তবে রাজ্যপালের সাংবিধানিক গণ্ডির বাইরে কখনও পা রাখেননি শাহ। ফলে, তাঁর সঙ্গে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের কোনও বিরোধ হয়নি। জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে রাজ্যের ভার হস্তান্তরের সময়ে রাজ্যপাল ছিলেন শাহই।
শাহ পরিবার সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে প্রাক্তন রাজ্যপালের অন্ত্যেষ্টি হবে। শাহের দেহ আনার জন্য আগামী কাল জর্ডনে যাচ্ছেন তাঁর বড় ছেলে রাজেশ। |
|
|
|
|
|