ফের আগুন লাগল চকবাজারে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন লেগে চকবাজারের ৬টি দোকান, ১০ বাড়ি ও একটি হোটেল ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনে হতাহতের খবর নেই। তবে ওই তিনতলা লজের নানা ঘরে ১০ জন আটকে পড়েন। পুলিশ, দমকল ও সেনা জওয়ানরা তাঁদের উদ্ধার করেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে হাজির হয়ে নিজেই উদ্ধারের কাজের তদারকি করেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। পুলিশ, দমকল, অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, সেনা জওয়ানরা মিলে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনেন। দিল্লি থেকে ফিরে বিকেলে চকবাজারে যান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। তিনি বলেন, “ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |
চকবাজারে আগুন। ছবি: রবিন রাই। |
২০১২-র ২০ এপ্রিল বাজারে আগুন লেগে অন্তত ২৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়। বাজার ঘিঞ্জি। সেখানে অধিকাংশ বাড়ি ও দোকানে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। বাজারটি ভেঙে নতুন করে আধুনিক বিপণন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করার কথাও জানিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। সেই ব্যাপারে প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে বলে জিটিএ সূত্রের খবর। ফের বাজারে আগুন লাগায় এলাকার ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের অনেকেই আতঙ্কিত। সকলেই বারেবারে কেন আগুন লাগছে তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
দমকল সূত্রের খবর, কদিন ধরে ওই এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে ২৪ ঘন্টা প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছিল। অসাবধানতাবশত সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে বলে দমকলের একটি সূত্র মনে করছে। তবে নানা মহল থেকে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করায় তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে দমকল সূত্রের খবর। দার্জিলিঙের জেলাশাসক বলেন, “দমকল, সেনাবাহিনী, সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় বাসিন্দারা একযোট হয়ে কাজ করায় তাড়াতাড়ি আগুন নিভেছে। আটকে পড়াদের দ্রুত উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই রিপোর্ট যথাস্থানে পাঠিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হবে।” |