ডুয়ার্সে মোর্চা ভাঙন অব্যাহত। শুক্রবার ধূপগুড়ি, বীরপাড়া, মাদারিহাটের প্রায় আড়াইশো সমর্থক মোর্চা ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। নারীমোর্চার মধ্য ডুয়ার্স শাখা সভানেত্রী মাইচাং তামাং এবং তাঁর অনুগামীরা সহ চুনাভাটি চা বাগানের যুব মোর্চার পুরো ইউনিট এবং মাদারিহাট-বীরপাড়ার বেশ কিছু মোর্চা সমর্থকও দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এদিন আড়াইশো মোর্চা সমর্থক দলে যোগ দিয়েছেন বলে জেলা কংগ্রেস নেতাদের দাবি।
গত মাসে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা ডুয়ার্সের প্রথম সারির ৩ নেতা কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পরে জলপাইগুড়িতে এসে মধ্য ডুয়ার্সের মোর্চা নেতারা কংগ্রেসে যোগ দেন। শুক্রবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি চামুর্চিতে গিয়ে সভা করেছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু বলেন, “ডুয়ার্সের বহু মোর্চা নেতা সমর্থকরা কংগ্রেসে যোগ দিতে চেয়ে যোগাযোগ করেছেন। ধাপে ধাপে সকলকে দলে সামিল করা হচ্ছে। একসময়ে ডুয়ার্সে যারা গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তারা এখন শান্তির পথে উন্নয়ন চাইছেন।”
এ দিন কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মোর্চা নেত্রী মাইচাং কে ধূপগুড়ি ব্লকের মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জেলা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী অনিতা মৌলিক। মাইচাং বলেন, “জিটিএ তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে পাহাড়ের নেতারা আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। আর এখন জিটিএ নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরে ফের ডুয়ার্সে আন্দোলন তৈরি করার চেষ্টা চলছে। ডুয়ার্সের মোর্চা সমর্থকরা আর ব্যবহৃত হতে রাজি নন।” চুনাভাটি এলাকার যুব মোর্চার সমর্থক গগন থাপা বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখে কংগ্রেসে যোগ দিলাম।”
এদিন মোর্চার তরফে পাল্টা বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এর ফলে সংগঠনে প্রভাব পড়বে না। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা ডুয়ার্সে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা মধুকর থাপা বলেন, “বর্তমানে যে রাজনীতির হাওয়া চলছে, তাতে কিছু ওলটপালট হবেই। তবে কয়েকজন চলে যেতে পারেন। পুরো গ্রাম তো মোর্চা ছেড়ে যাচ্ছে না।” পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেই বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে গিয়ে সভা করতে শুরু করেছে জেলা কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেস পরিচালিত চামুর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতে বীরসা মুন্ডা এবং কবি ভানুভক্তের দুটি মূর্তির উন্মোচন করেন। মোহন বসু পুরসভার চেয়ারম্যান হলেও সাংগঠনিক ভাবে জেলা কংগ্রেসের দায়িত্বে রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন শক্তিশালী করতে পঞ্চায়েতের নারীদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাবু। এ দিন চামুর্চি পঞ্চায়েতে এসে গাড়ি থেকে নামার পরেই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু এলাকার মহিলারা এসে মোহনবাবুকে নানা সমস্যার কথা জানান। |