চুরি, ছিনতাইয়ের বিরাম নেই বসিরহাটে। সম্প্রতি বসিরহাটে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতী হামিদ গাজি ও তার চার সঙ্গীকে ধরার পরও যে অপরাধ বিন্দুমাত্র কমেনি, তা প্রমাণ হল বুধ ও বৃহস্পতিবারের পরপর দুটি বড় ছিনতাই ও চুরির ঘটনায়। সবগুলিই ঘটেছে বসিরহাট এবং হাড়োয়ায়।
বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের বড় জিরাফপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়া মোড়ে প্রথম ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ বড় জিরাফপুরের বিশ্বাসপাড়ায় মোটর সাইকেলে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন দীপঙ্কর ওরফে গঙ্গা বিশ্বাস। বাড়ির কাছে হঠাৎই ৫-৬ জন যুবক তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। তাঁর কাছ থেকে অলঙ্কার ও নগদ টাকা ছিনতাই করে। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দীপঙ্করবাবু। দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার হাড়োয়া বাজারে একটি ব্যাঙ্কের সামনে। পুলিশ জানায়, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সোনাপুকুর অঞ্চলের চাতরা গ্রামের এক ব্যবসায়ী টাকা তুলতে এসেছিলেন ওই ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্ক থেকে বের হওয়ার পথে পিছন থেকে ওই ব্যবসায়ীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে এক দুষ্কৃতী তার টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালায়। ব্যাঙ্কের সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে এই ঘটনার ফুটেজ। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ওই দিনই গভীর রাতে বসিরহাটের ধলতিথা গ্রামে প্রাচীন গোকুলানন্দের মন্দিরের দরজার তালা ভেঙে রাধা-গোবিন্দের মূর্তির গা থেকে প্রায় ২ ভরি সোনা এবং ৪০ ভরি রুপোর অলঙ্কার এবং পুজোর সরঞ্জাম নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
স্বাভাবিকভাবেই পরপর চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে চলায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। |