|
|
|
|
মিলছে না ভাতা, দুঃস্থরা অর্থাভাবে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তফসিলি উপজাতির দরিদ্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের জন্য ভাতা রয়েছে। দেওয়া হয় সাধারণ দরিদ্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদেরও। কিন্তু অর্থাভাবে ভাতা পাচ্ছেন না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় দু’লক্ষ গরীব মানুষ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ বার ভাতা দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তারপর ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বরাদ্দ মেলেনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “টাকা চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু টাকা মেলেনি। গরীব বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সমস্যায় রয়েছে জানি। আমরা নিরুপায়।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের ২৯ হাজার ১১৫ জন ভাতা পান। আগে এই সংখ্যাটা ছিল ৩০ হাজার ৮১৯ জন। অনেক ক্ষেত্রে বয়সজনিত কারণে উপভোক্তাদের মৃত্যু হওয়ায় সেই স্থানগুলি শূন্য হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক উদাসীনতায় নতুন উপভোক্তাদের নাম ওঠেনি তালিকায়। এখন অবশ্য যা পরিস্থিতি, তাতে নতুনরা সুযোগ পাওয়া দূরের কথা, পুরনোরাই ভাতা পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে মাথা পিছু বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার টাকা। আগে ২-৩ মাস ছাড়া ভাতার বরাদ্দ অর্থ জেলায় পৌঁছে যেত। তারপর উপভোক্তাদের দেওয়া হত। এ বার ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই বরাদ্দ মেলেনি।
সাধারণ বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা। জেলায় বার্ধক্য ভাতা পান ১ লক্ষ ২১ হাজার ৭৭ জন। বিধবা ভাতা পান ২৯ হাজার ৩৫০ জন। আর প্রতিবন্ধী ভাতা পান ২৮১৭ জন। সকলেই শেষ ভাতা পেয়েছিলেন গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা বকেয়া। এই টাকার উপরেই নির্ভর করে জীবন চলে অনেকের। প্রশাসন থেকে শীঘ্রই ভাতা মিলবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুধু আশ্বাসে কবেই বা আর পেট ভরেছে! |
|
|
|
|
|