|
|
|
|
ক্যুরিয়ারে অভিযোগ |
কটূক্তির প্রতিবাদ করায় শ্লীলতাহানি, আঙুলে কোপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পাড়ার ছেলেরা কটূক্তি করেছিলেন। ক্লাবে এই নিয়ে অভিযোগ জানানোয় প্রতিবাদী দম্পতির বাড়িতে চড়াও হলেন অভিযুক্তেরা। বধূর শ্লীলতাহানির পরে হাঁসুয়ার কোপ মারলেন আঙুলে। মারধর করা হল স্বামীকেও। শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যুরিয়ার মারফত এমনই অভিযোগ দায়ের হয়েছে হলদিয়ার দুর্গাচক থানায়। স্থানীয় বানেশ্বরচক এলাকার ওই মহিলা জখম অবস্থায় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১ মার্চ রাতে গ্রামের একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন বানেশ্বরচক গ্রামের ওই দম্পতি। সেই সময়ই এলাকার কিছু যুবক তাঁদের ঘিরে অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। পরদিন গ্রামের ক্লাবে এলাকারই তিন যুবক নেপাল দাস, শুভেন্দু দাস ও অশোক মণ্ডলের নাম করে অভিযোগ জানান ওই মহিলার স্বামী। সেই সময় কিছু না বললেও ৫ মার্চ রাতে দম্পতির বাড়িতে চড়াও হন ওই তিন যুবক। স্বামীকে মারধর করার পরে তাঁরা বধূর শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। হাঁসুয়া দিয়ে বধূর বাঁ হাতের আঙুলে কোপ মারেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রাতেই ওই বধূকে ভর্তি করা হয় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে।
পেশায় শ্রমিক ওই মহিলার স্বামী আইনজীবীর দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার ওই আইনজীবী অভিযোগ ক্যুরিয়ার করে পাঠান দুর্গাচক থানায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই অভিযোগ এসে পৌঁছয় দুর্গাচক থানায়। থানা থেকে হাসপাতালে জানানো হলে ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিত্সকেরা। মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কে জি সালাম বলেন, “বাঁ হাতে ক্ষত হয়েছে মহিলার। মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে।” এ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই মহিলা বলেন, “ওরা রাস্তায় বাজে কথা বলছিল। তাই ক্লাবে জানিয়েছিলাম। তাতেই আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমার শ্লীলতাহানি করে। পরে হাঁসুয়া দিয়ে আঙুলে কোপ মারে। পাড়ারই ছেলে। ওদের কঠোর শাস্তি চাই। যাতে আর কোনও দিন এমন সাহস না পায়।” হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “অভিযোগ পেয়েই মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। দোষীদের ধরা হবে।” |
|
|
|
|
|