|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর |
ঝুঁকির যাতায়াত |
সরণি যে রকম |
দেবাশিস দাস |
সন্ধ্যার পরে পুরো রাস্তাটাই ডুবে থাকে গভীর অন্ধকারে। এই রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে গা ছমছম করে। আলো বলতে দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া গাড়ির হেডলাইট। অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে দুর্ঘটনা এই রাস্তায় কার্যত নিত্যদিনের ব্যাপার। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে হামেশাই ঘটে অসামাজিক কার্যকলাপ। বাসিন্দাদের দাবি, বারুইপুর-আমতলা রোডের দু’পাশে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন মহলে আবেদন করেও কোনও সাড়া মেলেনি।
সোনারপুর, বারুইপুর গ্রামীণ এবং পুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার রোডের যোগাযোগ রক্ষা করে এই রাস্তাটি। বারুইপুর-পদ্মপুকুর থেকে জুলপিয়া হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা আমতলা মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত। রাস্তার পাশে বারুইপুর কলেজ। আলিপুর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সদর কার্যালয়েরও স্থানান্তরিত হওয়ার কথা সংলগ্ন এলাকায়।
|
|
বারুইপুর, সোনারপুর সংলগ্ন এলাকার ব্যস্ত এই রাস্তাটি দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি এখনও ‘সিটি রোড’-এর মর্যাদা পায়নি। খাতায়-কলমে এটি এখনও গ্রামীণ এলাকার রাস্তা। এই রকম রাস্তায় আলোর দায়িত্ব থাকে স্থানীয় প্রশাসনের উপরে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে যথেষ্ট ভয় লাগে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চলে। একটু অসতর্ক হলেই বিপদ অবধারিত। এই রাস্তা সংলগ্ন টংতলা এলাকার বাসিন্দা সুবোধ মিস্ত্রির কথায়: “রাস্তার দু’পাশে আলো না থাকায় সন্ধ্যার পরে বাইরের দুষ্কৃতীরা অবাধে যাতায়াত করে। দিন কয়েক আগেও রাস্তার পাশে এক মহিলার বস্তাবন্দি দেহ ফেলে দিয়ে যায় অজানা দুষ্কৃতীরা।” |
|
আর কত দিন এ ভাবে অন্ধকারেই যাতায়াত করতে হবে বাসিন্দাদের?
পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার সিদ্ধার্থ মণ্ডল বলেন, “কিছু দিন হল এই বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছি। রাস্তাটি মেরামতির দায়িত্ব আমাদের। আলোর দায়িত্ব কার, খোঁজ নিতে হবে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের সর্দার বলেন, “গ্রামীণ এলাকায় কোথাও রাস্তার দু’পাশে আলো থাকে না। বারুইপুর-আমতলা রোড গ্রামীণ এলাকার রাস্তা। তবুও কিছু ব্যবস্থা করা যায় কি না, দেখব।”
যদিও বারুইপুর (পশ্চিম)-এর বিধায়ক এবং রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি সর্ম্পকে সবিস্তার খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”
|
ছবি: সুব্রত রায় |
|
|
|
|
|