সব জল্পনার শেষ। ওয়েন রুনিকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ছে না। আরও স্পষ্ট করে বললে, রুনিকে পরের মরসুমেও দলে রেখে দিচ্ছেন ম্যান ইউ বস স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। গত কয়েক বছরে বেকহ্যাম, নিস্তেলরুইয়ের যে ভাগ্য ম্যান ইউতে হয়েছিল, সেটা অন্তত আপাতত রুনির হচ্ছে না। ফার্গুসন যেমন হাইপ্রোফাইল ফুটবলার তৈরি করেন, তেমনই দলে সেই ফুটবলারের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাঁকে অন্য ক্লাবে বিক্রিও করে দেন সাম্প্রতিককালে বেকহ্যাম-নিস্তেলরুইয়ের ম্যান ইউ থেকে বিদায়েই সেটা পরিষ্কার।
মঙ্গলবার তাঁর প্রাক্তন ম্যান ইউ-শিষ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর রিয়াল মাদ্রিদের হাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিয়মমাফিক ম্যাচ-উত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে আসেনি প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়া ৭১ বছরের ফার্গুসন। পাঠিয়েছিলেন তাঁর সহকারী কোচকে। শুক্রবারই সর্বপ্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন ফার্গুসন। এবং সেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, রুনিকে তিনি অন্য ক্লাবে বিক্রি করছেন না। “আমি কথা দিচ্ছি, পরের মরসুমেও রুনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেই খেলবে। ওর ব্যাপারে ক্লাবের কোনও সমস্যা নেই,” বলে দিয়েছেন তিনি। |
একইসঙ্গে ফার্গুসন অবশ্য মঙ্গলবারের মহা-ম্যাচে তাঁর রুনিকে প্রথম দলে না রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন, “সে দিন রুনিকে শুরুতে না খেলানোর কারণটা সম্পূর্ণ ট্যাকটিক্যাল। রুনি নিজেও সেটা বুঝেছে। আমি তো বরং ভেবেছিলাম রিয়াল ম্যাচের আগের খেলাতেই শিনজি কাগাওয়ার হ্যাটট্রিকের পরেও ওকে মঙ্গলবারের দলে না রাখা নিয়েই আমি বেশি বিতর্কে পড়ব।”
রবিবার ম্যান ইউয়ের এফএ কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল চেলসির বিরুদ্ধে। রুনি ওই ম্যাচে খেলবেন বলে আজই জানিয়ে দিয়েছেন ফার্গুসন। তবে চেলসির বিরুদ্ধেও আঠাশ বছর বয়সি রুনি প্রথম দলে থাকবেন কি না সেটা জোর দিয়ে বলতে পারেননি তাঁর হেড কোচ। “রবিবার শুরু থেকে রুনি খেলবে কি না এখনই বলতে পারছি না।” যদিও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে রুনির অদূর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ ইউরোপীয় ফুটবলমহলে এটাও শোনা যাচ্ছে, বার্সেলোনা, প্যারিস সাঁ জাঁ কিংবা রিয়াল মাদ্রিদ রুনিকে নিতে বেসরকারি ভাবে অনাগ্রহ দেখিয়েছে বলেই হয়তো ফার্গুসন কতকটা বাধ্য হয়ে আরও এক মরসুম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁকে। রুনিকে অবশ্য পাওয়া গিয়েছে খোশমেজাজেই। নিজের আদর্শ ফুটবলার মারাদোনার সঙ্গে চব্বিশ ঘণ্টা আগেই হোটেলে দেখা হওয়ার খুশিতে রুনি টুইট করেছেন, “আমার মতে মারাদোনা হচ্ছে সর্বকালের সেরা ফুটবলার। মারাদোনার খেলা দেখেই আমি বড় হয়েছি।”
|
রুনি এবং ম্যান ইউ |
২০০৪-এ সই করেন ফার্গুসনের দলে। এখন পর্যন্ত ৩৪৩ ম্যাচে ১৬৬ গোল। |
এ মরসুমে ২৪ ম্যাচ শুরু থেকে খেলেছেন। ৫ ম্যাচে পরিবর্ত নেমেছেন।
গোল করেছেন ১৪। ম্যাচ পিছু গোল করা এবং করানোর সাফল্যের
শতাংশ ০.৯২%, যা ক্লাবে তাঁর সেরা মরসুমের সমান। |
|