এ দেশে খেলা সর্বকালের সেরা বিদেশি স্ট্রাইকার বাছতে বললে আমি ওডাফাকে তিন নম্বরে রাখব। মজিদ বাসকার আর এমেকার পর। চিমাকে রাখব চার নম্বরে। আর ব্যারেটো কিংবা আই লিগে তিন বারের হায়েস্ট স্কোরার র্যান্টি মার্টিন্সকে ওডাফা-চিমার থেকেও পিছিয়ে রাখছি।
ওডাফা পরপর হ্যাটট্রিক করছে। শুক্রবার একাই পাঁচ গোল করেছে, এ সবে অবাক হইনি। আমি নিশ্চিত ওডাফার পিছনে যদি গৌতম, সমরেশ, প্রশান্তর মতো পাসার থাকত তা হলে ও আরও বেশি গোল করত। ওডাফাকে আটকানোর টোটকা বার করতে পারেনি এখনকার কোচেরা। ওর খেলায় লুকনো কয়েকটা অস্ত্র আছে। যা ছিল এমেকার। এমেকার বিরুদ্ধে আমি খেলেছি। অনেক বার আটকেছি। জিতেছি। ওডাফাকে কোচিং করিয়েছি। ওকে যত দেখি ততই সেই ছিয়াশি-সাতাশির এমেকার কথা মনে পড়ে। দু’জনেই নাইজিরিয়ান। শারীরিক ক্ষমতা কাজে লাগায়। গতি, লং স্ট্রাইড দৌড়, জোরাল শটঅদ্ভুত মিল! তবে ওডাফার সেরা অস্ত্র ডান পায়ের ইনসাইড ডজ। যা দিয়ে ও একের পর এক ড্রিবল করে সাপের মতো একে বেঁকে গোলের সামনে পৌঁছে যায়। দু’পায়েই খুব ভাল শট আছে। তেকাঠি দারুণ চেনে। অসম্ভব মনের জোর। বক্সের মধ্যে চিমা, র্যান্টি, ব্যারেটোর চেয়েও ভয়ঙ্কর ওডাফা।
চিমা ছিল ‘রোবাস্ট’ স্ট্রাইকার। হুড়মুড়িয়ে গোলের সামনে চলে যেত। চিমাকে বড় চেহারার কাউকে দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে আটকানো যেত। ওডাফাকে তা করা যাবে না। ও শক্তির সঙ্গে স্কিল কাজে লাগিয়ে ডিফেন্স ভাঙে। এমেকাকে বুদ্ধি দিয়ে আটকেছি। ওর সঙ্গে প্রথম ট্যাকলে গেলেই বিপদ। ওডাফার ক্ষেত্রেও তাই। তা সত্ত্বেও এমেকার চেয়ে আমি ওডাফাকে এগিয়ে রাখছি না একটাই কারণেআমাদের সময় এমেকাকে গোল করতে হত অনেক ভাল-ভাল ডিফেন্ডারদের টপকে। এখন সেই মানের ডিফেন্ডার নেই বললেই চলে।
সবার উপরে রাখব মজিদকে। মেসি যদি গোলাপ হয়, তা হলে রোনাল্ডো ডালিয়া। মজিদের পাশে ওডাফাকেও এ ভাবেই বিচার করব। মজিদের খেলা দেখা ছিল চোখের আরাম। ওডাফার মধ্যে সৌন্দর্য নেই, বলব না। তবে সেটা গোলের সময়। মজিদের খেলার গন্ধ ছড়িয়ে থাকত সব সময়। |