|
|
|
|
চাঁদড়া |
ক্ষতিপূরণের দাবিতে জলপ্রকল্পের কাজ বন্ধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জমিদাতাদের বাধায় বন্ধ থাকল জল প্রকল্পের কাজ। শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুন্দলবনি গ্রামে। সদর ব্লকের ধেড়ুয়ায় একটি জল প্রকল্পের কাজ চলছে। সেই প্রকল্পের জন্য কয়েকটি এলাকায় জলাধার তৈরি, পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। কুন্দলবনিতেও এই কাজ হচ্ছে। কিন্তু জমির দাম বাবদ ক্ষতিপূরণের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা মেলেনি অভিযোগে শুক্রবার সকাল থেকে কুন্দলবনিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। চাকরির দাবিও করেন জমিদাতারা। এই নিয়ে শোরগোল পড়ে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। শেষমেশ ঠিক হয়, জমিদাতাদের দাবি নিয়ে আগামী বুধবার মেদিনীপুরে এক বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে জমিদাতারা তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বহু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। গরম পড়তে শুরু করলে সমস্যা বাড়তে শুরু করে। সদর ব্লকের ধেড়ুয়া, চাঁদড়া প্রভৃতি এলাকায় একই পরিস্থিতি। অবস্থা দেখে এই এলাকায় একটি জল প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। গত বছর জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই জল প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। এরপর দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়। ধেড়ুয়া জল প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ ২১ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে ৬টি জলাধার তৈরি হবে। কাঁসাই নদী থেকে জল এনে জলাধারে তোলা হবে। পরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই জল গ্রামে গ্রামে পৌঁছনো হবে। প্রকল্প রূপায়িত হলে সব মিলিয়ে ৯৬টি গ্রাম উপকৃত হবে। কুন্দলবনিতে এই প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছেন তাপস বেরা। তিনি বলেন, “সেই সময় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা বিভিন্ন এলাকায় জমির খোঁজ করেন। আমরা কয়েকজন স্বেচ্ছায় জমি দিতে এগিয়ে আসি। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছিল, জমি দিলে ক্ষতিপূরণ মিলবে। প্রকল্পে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে। এখনও ক্ষতিপূরণ পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে শুক্রবার সকালে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলি।” কুন্দলবনির ওই বাসিন্দার বক্তব্য, “আমরা এ ভাবে কাজ বন্ধ রাখার পক্ষে নই। তবে দফতরের উচিত, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা। যে ২২-২৫ জন প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।”
শুক্রবার দুপুরে জমিদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা। জানানো হয়, কাজ চলুক। দাবি নিয়ে বুধবার বৈঠক হবে। তাপসবাবু বলেন, “দফতরের আধিকারিকেরা বৈঠকের আশ্বাস দিয়েছেন। বুধবার মেদিনীপুরে বৈঠক হবে। ফলে, কাজ শুরু হলে আর আপত্তি থাকবে না। আমরা চাই, প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ হোক। সঙ্গে আধিকারিকেরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ও রাখা হোক।”
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বক্তব্য, সামান্য একটা সমস্যা হয়েছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটে গেছে। প্রকল্পের কাজ ঠিক ভাবেই এগোচ্ছে। |
|
|
|
|
|