|
|
|
|
দলের সঙ্কট সামলাতে দিল্লিতে গগৈ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গদি বাঁচাতে নয়, দিল্লি হয়ে কুম্ভ মেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এমনটাই দাবি তাঁর। তিনি জানান, “দলের ভিতরে নেতৃত্ব প্রসঙ্গে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা স্রেফ নাটক মাত্র।” গত কাল গগৈয়ের পক্ষে যে ‘আস্থা সই’ গ্রহণ শুরু হয়েছিল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে ৫৮ জন দলীয় বিধায়ক সই করেছেন। আজ বেলা ১টা নাগাদ গগৈ দিল্লি রওনা দেন। তবে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাঁচাবার জন্য সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাচ্ছি না। ইলাহাবাদে কুম্ভ মেলা দেখতে যাওয়ার সফরসূচি আগে থেকেই ঠিক ছিল। কয়েকজন বিধায়ক ক্ষোভ দেখাচ্ছেন বটে। তবে তা নিয়ে ভাববার কিছু নেই।” গগৈয়ের পাশাপাশি, গগৈ-বিরোধী শিবিরের প্রধান তথা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও আজ দিল্লি যান। তিনিও জানান, ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই দিল্লি যাচ্ছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই।
হিমন্ত ‘ঘনিষ্ঠ’ একটি চ্যানেলে সরকার বিরোধী খবর দেখানোয় এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ গত কাল হিমন্তকে কারণ দর্শাবার চিঠি পাঠান। হিমন্তর বক্তব্য, চ্যানেল তাঁর মালিকানাধীন নয়। চ্যানেলের কাজের জন্য তাঁর কাছে কেন জবাবদিহি চাওয়া হবে? তাঁকে পাঠানো ‘শো-কজ’-এর চিঠির বিষয়টি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস সচিব সরকারি বিবৃতির ধাঁচেই সব সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়ায় হিমন্ত ক্ষুব্ধ। এ দিকে, আজ বিধানসভায় রটে যায়, গগৈ-বিরোধী হিসেবে পরিচিত চন্দন সরকার, প্রদান বরুয়া ও আবু তাহের ব্যাপারিকে পরিষদীয় সচিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রদান, চন্দনরা প্রকাশ্যে জানান, গগৈয়ের চাপিয়ে দেওয়া দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পেয়ে তাঁরা খুশি। কিন্তু বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস সচিব ভরত নর জানান এমন কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি। তবে নর জানান, নির্দল হিসেবে মানকাচর থেকে জিতে পরে কংগ্রেসের সহযোগী সদস্য হওয়া জাভেদ ইসলামকে দলবিরোধী কাজের জন্য কংগ্রেসের সহযোগী সদস্য পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। জাভেদ হিমন্তের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। |
|
|
|
|
|